বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞার কালো মেঘ নেমে এল। গত বছরের ১৪ এপ্রিল আর্থিক জালিয়াতির দায়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা।
সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ার পরপরই আঙুল উঠেছিল মূর্শেদীর ওপর। এবার তিনিও ফিফার স্বতন্ত্র এথিকস কমিটির হাত থেকে বাঁচলেন না। এথিকস কমিটির বিচারিক চেম্বার মূর্শেদীর বিপক্ষে কোড অব এথিকসের ১৪ নম্বর ধারা ভঙ্গের (সাধারণ কর্তব্য) প্রমাণ পেয়েছে। তাই ফিফাকে প্রায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করবেন বাফুফের অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান। তার মতো ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছিল সোহাগকেও। তবে সেটা বাড়িয়ে এখন ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ করা হয়েছে।
দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আবু হোসেন ও মিজানুর রহমানও ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানার কবলে পড়েছেন। এছাড়া বাফুফের প্রকিউরমেন্ট ও স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরীফকে ফিফা প্রদত্ত কমপ্লায়েন্স ট্রেনিং নিতে বলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তার আচরণের ব্যাপারে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
পৃথক শুনানি ও প্রতিটি কার্যধারা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফার অ্যাডজুডিক্যাটরি চেম্বার। ফিফার দেওয়া ফান্ড নিয়ে বেশ কয়েকটি লেনদেনের ব্যাপারে জালিয়াতি ও মিথ্যা নথি প্রদান করেন বাফুফের সেই পাঁচ কর্মকর্তা। যার প্রমাণ পেয়েছে ফিফার অ্যাডজুডিক্যাটরি চেম্বার।
আব্দুস সালাম মূর্শেদীর অনিয়ম নিয়ে ফিফার ৫২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
এআর/এএইচএস