চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে প্রথম ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ৪-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাড়িয়েছে তারা।
ম্যাচের প্রথমদিকে বাংলাদেশের রক্ষণের কঠিন পরীক্ষা নেয় চাইনিজ তাইপে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করে বাংলাদেশ। চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে আজ সাহসী ফুটবলই খেলেছে বাংলাদেশ। রক্ষণ তাই বারবারই উঠেছে আক্রমণে। চাইনিজ তাইপের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছেন তহুরা-স্বপ্নারা।
ম্যাচের ১১ মিনিটে সু সিন ইয়ুনের ডিফেন্স চেরা পাস ধারে বক্সে ঢুকে পরেন চাইনিজর তাইপের অধিনায়ক লি সিন হু। তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন শিউলি আজিম। তবে সব বাধা টপকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। লি সিনের প্লেসিং শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
১৮ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় চাইনিজ তাইপে। বক্সের ভেতর লিন ই্য়া হুসুয়ান দুই ফুটবলারের মাঝ দিয়ে ব্যাক পাস দেন সু ইউ হুসুয়ানকে। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। পরের মিনিটে আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ। চাইনিজ তাইপের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে মনিকা চাকমা। তার শট সহজেই তালুবন্দি করেন চাইনিজ তাইপের গোলরক্ষক।
২৭ মিনিটে স্বপ্না রানীর দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। দুই মিনিট পরেই মুনকির শট চাইনিজ তাইপের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধের ২০ মিনিট পর থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে বাংলাদেশ। তৈরি করেছে দারুণ সব গোলের সুযোগ। চাইনিজ তাইপে যে বাংলাদেশের চেয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে তা আজ মাঠের খেলায় তেমন একটা বোঝা গেল না। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সফরকারীরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধারা বজায় রেখে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। পুরোটা সময়ই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলা বাংলাদেশ। একের পর এক আক্রমণ করলেও শুধু গোলের দেখা মেলেনি। একদিকে বাংলাদেশের আক্রমণ যেমন সকলের নজর কেড়েছে অন্যদিকে প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স ছিল বাংলাদেশের গোলরক্ষক রূপনা চাকমারও। চাইনিজ তাইপের আক্রমণগুলোকে শক্তহাতে প্রতিহত করেছেন তিনি। দিন শেষে ম্যাচের ফলাফল মুখ্য হলেও আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স প্রশংসা কুড়িয়েছে সকলেরই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৪
এআর/আরইউ