টানা চার মেয়াদে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দেশের ফুটবলের সুপারস্টার কাজী সালাউদ্দিন। গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি।
গত নির্বাচনের পর আজ প্রায় তিন মাস পর বাফুফে ভবনে এসেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। আজ তিনি ফেডারেশনের এসেছিলেন ভিন্ন পরিচয়ে। তিনি আজ বাফুফে ভবনে এসেছেন সাফের প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
ফেডারেশনে দুই ঘন্টার বেশি সময় কাটিয়েছেন সালাউদ্দিন। কথা বলেছেন নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ, সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম সহ বাফুফের অন্যানদের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। কথা বলেছেন উপস্থিত গনমাধ্যমের সঙ্গেও।
দীর্ঘদিন পর ফেডারেশনে এসে অনুভূতি জানাতে গিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফুটবল ওয়াজ মাই লাইফ, দিস ইজ দ্য হোম অব ফুটবল (বাফুফে), তো এখানে নিজের বাসায় আসছি, আবার যাবো-আসব এখানে কিছু কাজ ছিল, এরা চাচ্ছে সাফের কিছু টুর্নামেন্ট হোস্ট করতে, সে কারণে এসেছি কিভাবে এটা তাদের দেওয়া যায়। সব দেশই তো চাইবে, আমার তো চাওয়া থাকবে এটা বাংলাদেশ পাক। ’
সাফের টুর্নামেন্টটি এবার অন্য আঙ্গিকে করতে চায় সাফ কমিটি। সাফকে আরও বাণিজ্যিকিকরণ করতে জানা গেছে নতুন মডেলে ক্লাব কাপ আয়োজন করবে। কিন্তু সেটি করা মোটেও সহজ কাজ নয় তাও অকপটে স্বীকার করেছেন সাফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, ‘বাণিজ্যিকভাবে করলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এই দুই দেশে স্পোর্টসের একটা স্ট্রাকচার আছে। অন্যরাও পারবে, তবে এখানে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যেটা তা হলো ভিসা সমস্যা। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের একটা রাজনৈতিক সমস্যা আছে; বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে… এই নিয়ে একটা ভিসা ইস্যু আছে। তো এটা নিয়ে তিন দলের একটা লড়াই চলছে; আমরা কাজ করছি, দেখা যাক কি দাঁড়ায়। ’
নতুন কমিটির ঘোষিত প্ল্যান কতটা বাস্তবায়ন হতে পারে বা হচ্ছে জানতে চাওয়া হয় সাবেক সভাপতির কাছে। নতুন কমিটিকে নিয়ে ইতিবাচক কাজী সালাউদ্দিন, ‘আসলে আমি জানি না কি হচ্ছে, গণমাধ্যম হোক আর যাই হোক আমি ফলো করি না। তাই এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, অবগত নই। তবে খারাপ করার তো কোনো কারণ নেই। আমি মনে তারা ভালোভাবেই রান করবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এআর/আরইউ