ঢাকা: বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তিনি। সর্বকালের অন্যতম সেরাও।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিনিধি এমন অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে বুয়েন্স আয়ার্সে মেসির জন্ম শহর রোজারিওতে যান। সেখানে তিনি এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফেরেন যেগুলো হয়তো খোলাসা করতে পারবে- ‘মেসি আর্জেন্টিনায় সেই সমাদরটা কেন পাননা যেটা ম্যারাডোনা বহু বছর থেকে পেয়ে আসছেন।
স্থানীয় ট্যাক্সিচালক থেকে শুরু করে কোচ-ধারাভাষ্যকারদের কথা শোনেন তিনি। স্থানীয়দের কথায় বেরিয়ে আসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাদের মতে মেসির সমাদর না পাওয়ার কারণগুলো এমন:
> বিদেশে খেলার লোভে মেসি খুব অল্প বয়সে আর্জেন্টিনা ছেড়েছেন।
>তিনি জাতীয় সঙ্গীত গাইতে উৎসাহী নন।
>তার প্যাশনের অভাব।
>ব্যক্তিত্বের অভাব!
>জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মেসি তেমন কিছু অনুভব করেন না, যেটা তার সতীর্থদের মাঝে দেখা যায়।
কেবল বাচন ভঙ্গিটা আর্জেন্টাইনদের সাথে মিলে যাওয়ায় মেসি সম্পূর্ণ নিন্দিত হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন বলে আর্জেন্টিনার ফুটবল লেখক মার্টিন মাজুর মনে করেন।
‘অন্তত এটা না থাকলে তারা(আর্জেন্টাইন) হয়তো তাকে মেরেই ফেলতো’ মার্টিন বিস্মিত কণ্ঠে জানান।
‘মেসি যেভাবে খেলেন আমরা সবসময় সেটা পছন্দ করি। কিন্তু আমরা জানিনা সে কে!’ রোজারিওর এক ট্যাক্সিচালক জানান।
বস্তি থেকে উঠে আসা ম্যারাডোনার অর্জনটা সবসময় অন্যরকমভাবে ধরা দেয় আর্জেন্টাইনদের কাছে।
স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর এক টিভি সাংবাদিক মেসির কাছে জানতে চান, ‘ব্রাজিল যাত্রার পথে তিনি আর্জেন্টিনার একটি পতাকা বহন করছেন কিনা। ’
‘তোমার যা পছন্দ তা তুমি বহন করতে পারো। বিশ্বকাপটা আমরা স্বাভাবিক ভাবেই দেখছি। ’ সহাস্যে জানান মেসি।
বরাবরের মত অনেক প্রত্যাশার চাপ নিয়ে সোমবার ব্রাজিলের বিমান ধরেছে মেসিরা। এবার যদি দেশের জন্য কিছু অর্জন করতে না পারেন, তবে সামনে আর্জেন্টাইনরা হয়তো ভুলেই যাবে মেসি নামের বিশ্বসেরা একজন খেলোয়াড় তাদের দেশে জন্মেছিল।
গত বছর কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, ১০ জুন ২০১৪