ঢাকা: ব্রাজিল বিশ্বকাপের পোস্টারবয় নেইমার যখন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবেন তখন তার বয়স দাঁড়াবে ২২ বছর ৪ মাস ৮ দিন। এই বয়সেই তার কাঁধে চেপেছে ব্রাজিলকে ৬ষ্ঠ বারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব।
ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ লুইজ ফেলিপে স্কোলারির তুরুপের তাশ নেইমার, বিশ্বকাপে ব্রাজিলবাসীরও বাজির ঘোড়া তিনি। শুধু স্কোলারি বা ব্রাজিলবাসীই নয় পুরো বিশ্ব আজ থেকে আগামী এক মাস তরুণ নেইমারে পা দুটির দিকে তাকিয়ে থাকবে অধীর আগ্রহে।
২০১০ সালের বিশ্বকাপে বর্তমান প্রজন্মের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত লিওনেল মেসি একই আশার বারুদ জ্বালিয়ে এসেছিলেন বিশ্বমঞ্চে। তখন তারও বয়স ছিলো ২২ বছর। কিন্তু তিনি পারেননি প্রত্যাশা পূরণ করতে। সম্পূর্ণ শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছিলো তাকে। এমনকি কোন গোল না করেই বিদায় জানাতে হয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপকে।
নেইমার কি পারবেন ক্লাব বার্সেলোনার সতীর্থ মেসির ব্যর্থতাকে জয় করে ব্রাজিলকে শিরোপা এনে দিতে?
ব্রাজিলবাসী কিন্তু এ প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর খুঁজছেন নেইমারের কনফেডারেশন কাপ জয়ের কীর্তিতে। ২০১১ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই তিনি ল্যাটিন আমেরিকার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। একই বছর মেসি, রোনাল্দো, রুনির মতো তারকারদের হারিয়ে জিতেছেন ‘ফিফা পুসকাস অ্যাওয়ার্ড’। সবচেয়ে সুন্দর গোলের জন্য এ পুরস্কারটি দেয় আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা।
এছাড়াও সাবেক ক্লাব সান্তোসের হয়ে জিতেছেন ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের সব পুরস্কার। সান্তোসকে নিয়ে গেছেন পেলের সময়কার উচ্চতায়। আর নেইমারের এসব ক্যারিশমাতেই মজে আছে ব্রাজিলবাসী। এখন দেখার বিষয় তিনি তাদের হৃদয় ভাঙেন নাকি নিজেকে নিয়ে যান অন্য উচ্চতায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৪