ঢাকা: সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করছেন ফুটবল বোদ্ধারা। গত বছর কনফেডারেশন কাপে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর সমর্থকদের প্রত্যাশা এখন আকাশচুম্বি।
শুধু কনফেডারেশন কাপ জিতেই ব্রাজিলের জয়রথ থেমে যায়নি। ওই টুর্নামেন্টের পর সর্বশেষ ১০টি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে খেলে একটিতে মাত্র পরাজিত হয় সেলেকাওরা। আর প্রতিটি জয়েই তারা করেছে গোল উৎসব।
এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ানদের বাজির ঘোড়া নেইমার আছেন ফর্মের তুঙ্গে। মাত্র ২২ বছর বয়সেই ব্রাজিলের ফুটবল লিজেন্ডদের গোল রেকর্ড একের পর এক ভেঙে ফেলছেন তিনি। ইতোমধ্যেই কাকা, রবিনহো ও জেয়ারজিনহোদের মতো পূর্বসূরিদের ছাড়িয়ে গেছেন। আর দুটি গোল পেলেই ছাড়িয়ে যাবেন রোনালদিনহোর মতো বিশ্বকাপজয়ী নান্দনিক ফুটবলারকেও।
এবারের বিশ্বকাপের পোস্টারবয় নেইমার জাতীয় দলের হয়ে ইতোমধ্যেই করেছেন ৩১ গোল। শুধু গোল করাই তার কাজ নয়, একইসঙ্গে গোলের সুযোগ তৈরি করার নেশাও যেন পেয়ে বসে তাকে। ২০টি গোল অ্যাসিস্ট করাই তার প্রমাণ।
ব্রাজিলে দলে রয়েছে থিয়াগো সিলভা, লুইজ, মার্সেলো ও দানি আলভেসের মতো নির্ভরযোগ্য ও আক্রমণাত্মক ডিফেন্ডার। অস্কার, পলিনহোসহ মাঝমাঠের খেলোয়াড়দের সৃজনশীলতার সঙ্গে যোগ হয়েছে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের খুনি মনোভাব।
সব মিলিয়ে ম্যানেজার লুইস ফেলিপে স্কোলারি আক্রমণ ও রক্ষণের খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছেন ভারসাম্যপূর্ণ এক টিম যা ‘ফেলিপে পরিবার’ নামে এখন পরিচিত।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে যখন ব্রাজিল মুখোমুখি হবে তখন তাদের পক্ষে থাকবে বিভিন্ন রেকর্ড। ক্রোয়েশিয়ার কাছে কখনওই না হারার অভিজ্ঞতাকে তাই টিকিয়েই রাখতে চাইবে ঘরের মাঠে সহজ জয় দিয়ে। এছাড়াও পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা কোনো বিশ্বকাপেই প্রথম ম্যাচে হারেনি- এই রেকর্ডও তাদের আরও বেশি সাহস যোগাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৪