ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

স্বপ্নের বিশ্বকাপ একাদশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৪
স্বপ্নের বিশ্বকাপ একাদশ

ঢাকা: বিশ্বকাপ জ্বরে পুড়ছে পুরো বিশ্ব। কোন দলের রক্ষণভাগ সেরা, কোন দলের মধ্যভাগ, আর কোন দলের আক্রমণভাগ সেরা এ হিসাব-নিকাশ কষে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বকাপ কারা জিতবে সে ভবিষ্যদ্বাণী।

তবে, বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষেই সত্যিকার অর্থে মূল্যায়ন করা যাবে কোন দলের কী ভাগ কেমন ছিল। তার আগে, ৩২টি দলের সেরা খেলোয়াড় বেছে নিয়ে ৪-৩-৩ ফরম্যাটে বিশ্বকাপের স্বপ্নের একাদশ সাজিয়েছেন ফুটবল বোদ্ধারা।

সেই একাদশটিই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে বাংলানিউজ

গোলকিপার

ইকার ক্যাসিয়াস (স্পেন)
ফুটবলের সর্বজনবিদিত নাম্বার ওয়ান গোলরক্ষক তিনি। ইকার ক্যাসিয়াস যখন দলের গোলরক্ষণে থাকেন তখন ডিফেন্ডাররা বেশ স্বস্তিতেই থাকতে পারেন। গত বিশ্বকাপ জেতা স্পেন অধিনায়ক এবারও দলকে নিয়ে উড়াল দিয়েছেন ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয়ে। লা ডেসিমা জয়ের মাধ্যমে সফল মৌসুম শেষ করা রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক গোলকিপার হিসেবে সহজে জায়গা করে নিয়েছেন স্বপ্নের একাদশে।

ডিফেন্ডার্স

মার্সেলো (ব্রাজিল, লেফট ব্যাক)
স্বদেশে তারকা মিডফিল্ডার রবার্তো কার্লোসের মতে, ফুটবলের সবচেয়ে সেরা লেফট ব্যাক ডিফেন্ডার ব্রাজিলিয়ান মার্সেলো। অসাধারণ ডিফেন্স ও অ্যাটাকিং ড্রিবলিংয়ের জন্য তার ডিফেন্সে অনেকটাই ‘ডিফেন্ড’ করে দলের জয়।

থিয়াগো সিলভা (ব্রাজিল, সেন্টার ব্যাক)
ব্রাজিল দলের অধিনায়ক। পেছন থেকে দলকে এগিয়ে দেওয়ার কারিগর তিনি। নিজের পজিশন নিয়ে সচেতনতা ও অসাধারণ ট্যাকলিং স্কিলের জন্য ব্রাজিল একাদশের সম্পদ সিলভা।

সার্জিও রামোস (স্পেন, সেন্টার ব্যাক)
সম্পূর্ণ ভারসাম্যপূর্ণ দল স্পেনের সেন্টার ব্যাক ডিফেন্ডার রামোস। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাধর সেন্টার ব্যাক ডিফেন্ডার বলা হয়ে থাকে। খেলার মাঠে বিভিন্ন ধরনের পজিশনে খেলতে সক্ষম রামোস সেন্টার ব্যাকের মতোই সমান দক্ষ রাইট ব্যাকে।

দানি আলভেজ (ব্রাজিল, রাইট ব্যাক)
বিশ্বের অন্যতম সেরা রাইট ব্যাক ডিফেন্ডার বলা হয় ব্রাজিলিয়ান দানি আলভেজকে। আগ্রাসী ডিফেন্ডার হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। পায়ে থেকে পায়ে নিখুঁতভাবে বল দিতে সুখ্যাতি রয়েছে আলভেজের। অনেক দূর পর্যন্ত বল পায়ে দৌঁড়াতে সক্ষম আলভেজের ড্রিবলিংয়ে এবার চোখ থাকছে বিশ্ব ফুটবলপ্রেমীদের।

মিডফিল্ডার্স

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (স্পেন)
তাকে বলা হয় স্প্যানিশ মিডফিল্ডের প্রাণভোমরা। নিখুঁত ড্রিবলার ইনিয়েস্তা বল পায়ে ভেঙে দিতে পারেন যে কোনো দলের কঠিন রক্ষণভাগ। ব্যালন ডি’অর’র রানার-আপ ইনিয়েস্তা মিডফিল্ড ছাড়াও সরাসরি আক্রমণভাগেও চলে আসতে পারেন দলের প্রয়োজনে।

আন্দ্রি পিরলো (ইতালি)
ইতালির মিড ফিল্ডের ‘ম্যাজিশিয়ান’ খ্যাত পিরলো এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মাঠে নামছেন। এসি মিলান ও জুভেন্টাস ক্লাবের হয়ে খেলা এ খেলোয়াড়ের ‘ম্যাজিক’ দক্ষতা তাকে অনায়াসে ঢুকিয়ে দিয়েছে স্বপ্নের বিশ্বকাপ একাদশে।

আরিয়েন রোবেন (নেদারল্যান্ডস)
ডাচ উইঙ্গার আরিয়েন রোবেন বল পায়ে কেমন দুর্দান্ত সেটা ২০১০ বিশ্বকাপেই দেখিয়েছেন। মাস্টার ড্রিবলার রোবেন মাঠের পাশ দিয়ে বল কাটিয়ে এনে প্রতিপক্ষের জালে গড়াতে বেশ দক্ষতার পরিচয় দেখিয়ে চলেছেন। এবারও তার পায়ের জাদু দেখতে চাইবে ডাজ ফুটবলপ্রেমীরা।

ফরোয়ার্ড

নেইমার (ব্রাজিল)
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের ভবিষ্যৎ বলা হয় তাকে। স্পেনকে উড়িয়ে দিয়ে গত বছরের কনফেডারেশন্স কাপ জয়ে তিনিই ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পায়ের অসংখ্য ঘূর্ণি জাদুই তার ঘাড়ে ব্রাজিলের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে। নেইমারের কাঁধে ভর করেই ব্রাজিল এবারের বিশ্বকাপ জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে।

লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
কেউ তাকে বলে থাকেন ভিনগ্রহের ফুটবলার, আবার কেউ বলেন ফুটবল জাদুকর। সামান্যতম স্বীকৃতি হিসেবে তাকে চারটি ব্যালন ডি’অর-এ ভূষিত করেছে ফিফা। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার এবং গোলকিপাররাই বলে থাকেন নিখুঁত ড্রিবল‍ার মেসিকে বন্দুক ছাড়া থামানো কঠিন। গত বিশ্বকাপে না পারলেও কেবল মেসি আছেন বলেই এবারও বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে আর্জেন্টিনা।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার বলা হয় তাকে। পর্তুগিজ ক্যাপ্টেনের পায়ের গতি এবং হেড যে কোনো রক্ষণভাগই গুড়িয়ে দিতে পারে মুহূর্তেই। ক্রিস্টিয়ানোকে ছাড়া ফুটবল বিশ্বকাপের স্বপ্নের একাদশের কথা ভাবতে যাওয়াও বোকামি।

কোচ

ভিনসেন্তে দেল বস্ক (স্পেন)
দেল বস্কের তত্ত্বাবধানেই গতবার শিরোপা ঘরে নিয়েছিলো স্প্যানিশরা। আবারও ইনিয়েস্তা-ভিয়াদের নিয়ে তিনি চাইছেন গতবারের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে। স্বপ্নের একাদশের কোচ হিসেবে দেল বস্কই পছন্দ ফুটবল বোদ্ধাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।