ঢাকা: বিশ্বকাপকে ঘিরে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ভক্তদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই তারকা খেলোয়াড় মেসি-নেইমার।
তাদের নিয়ে চলছে নিখাদ বিশ্লেষণ।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচের পর এ দুই তারকার গোলের বিশ্লেষণে দেখা যায় বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি ৮ ম্যাচ খেলে গোল করেছে একটি, অন্যদিকে নেইমার মাত্র একম্যাচেই ২টি গোল করেছ!
বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে প্রথম গোল পেতে নেইমার সময় নিয়েছেন ২৯ মিনিট। এর আগে অবশ্য ২৭ মিনিটে অতিথি খেলোয়াড় মডরিচকে ফাউল করে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম হলুদ কার্ডও দেখেছেন নেইমার। তবে কার্ড দেখে যেন অন্যরূপে নিজেতে মেলে ধরেন বর্তমান সময়ের সেরা এ ফরোয়ার্ড।
আত্মঘাতী গোলের পর ২৯ মিনিটে নেইমারের গোলেই সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ২০ গজ দূর থেকে বাম পায়ের নেওয়া নেইমারের শটটি আটকাতে পারেননি ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। তাকে এক প্রকার আনাড়ি বানিয়েই নেইমার আদায় করে নেন বিশ্বকাপে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম গোল।
তবে প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-১ গোলের সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে দু'দলের খেলা দেখে মনে হচ্ছিলো নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে ম্যাচটি। তবে ৬৯ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ফ্রেডকে ফাউল করে বসেন দেয়ান লেভরেন।
আর তাতেই পেনাল্টি দেন জাপানের রেফারি ইউয়াচি নিশিমুরা। ওই পেনাল্টি থেকেই সব চাপকে জয় করে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন নেইমার। এ গোলের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করলেন মেসি চাপের মধ্যে খেই হারিয়ে ফেলতে পারে, তবে নেইমার সেই জাতের নন। নেইমার চাপকে জয় করেই খেলতে জানেন।
যেখানে মেসি বিশ্বকাপে ৮টি ম্যাচ খেলে পেয়েছিলেন প্রথম গোলের দেখা সেখানে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই নেইমার করেছেন ২টি গোল।
এতো কম বয়সে চাপ নিয়ে ২টি গোল করে নেইমার কি প্রমাণ করলেন না, তিনি আসলে মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত! হিসাবের খাতা চূড়ান্ত করতে এখনো অনেকগুলো ম্যাচ বাকি। সময়ই বলে দেবে কি হবে এ বিশ্বকাপে মেসি-নেইমার লড়াইয়ের!
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৪