ঢাকা: রোবট যখন প্রথম ফুটবল খেলা শুরু করে, তখন তাদের কাছে বল দেখাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে নতুন আঙ্গিকে এবার রোবটদের নিয়ে আবারো রোবোকপ শুরু হতে যাচ্ছে।
আর এ প্রযুক্তিগত বিশ্বকাপ শুরু হবে ব্রাজিলের উপকূলবর্তী শহর জোয়াও পিসোয়াতে। ব্রাজিল বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে। এটি চলবে ১৯ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। এতে অংশ নিবে ৪৫টি দেশ।
মনুষ্য ফুটবল বিশ্বকাপকে ৩৫ বছর পর চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে এ রোবট ফুটবল। এমনটি মনে করেন ইউএস কারনেজি মেলন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক ম্যানুয়েলা ভেলোসো। তিনি বলেন, ‘২০৫০ সালে মানুষের খেলা ফুটবলের ভাগ্যে কি ঘটবে তা বলা মুশকিল। কিন্তু আমরা সঠিক পথেই রয়েছি। ’
২০০২ সালে রোবোকপের প্রধান ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব পেনসেলভানিয়া’র ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ড্যান লি। তিনি বলেন, ‘তখন এটি খেলা হয়েছিল পাঁচ বছরের শিশুদের অংশগ্রহণে। আর এবার সেটি খেলবে দশ বছর বয়সী শিশুরা। ’
লি আরো বলেন, ‘মানুষের ফুটবল খেলার সব নিয়ম এখানে অনুসরণ করা হবে। শুধু রোবটের জন্য ব্যবহৃত ব্যাটারির কথা মাথায় রেখে ৯০ মিনিটের স্থলে খেলা হবে ২০ মিনিট। একজন মনুষ্য রেফারি থাকবে ম্যাচ পরিচালনার জন্য। তিনি তার সিদ্ধান্ত একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে রোবটের কাছে জানাবেন। ’
রোবোকপের কো-চেয়ারম্যান আলেকজান্দ্রে সিলভা এক ইমেইল বার্তায় জানান, ‘প্রতিবছর রোবটদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা কষ্টকর। মাঠের আকার, রোবটদের নাম্বারিং করা কঠিন। তাই এবারো আমরা ইনডোর গেম হিসেবে এর আয়োজন করেছি। খুব শিগগিরই রোবোকপ মানুষের স্মার্টফোনে পৌঁছে যাবে। ’
তবে পরের বছর রোবটরা ইনডোরে না খেলে বাইরে খেলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ম্যানুয়েলা ভেলোসো।
এর আগে প্রথমবার রোবটদের নিয়ে এমন ভিন্নধর্মী ফুটবলের ‘রোবোকপ’ আয়োজন করা হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। ২০১০ সালে হয় সিঙ্গাপুরে। এছাড়া জার্মানিতেও বেশ কয়েকবার রোবোকপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ১১ জুলাই ২০১৪