ঢাকা: দল বদলের আগেই অন্য ক্লাব থেকে অগ্রিম অর্থ গ্রহণকারী আট ফুটবলারকে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবেই থাকতে হবে বলে হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
বুধবার (৩০ মার্চ) হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাফুফের করা আবেদনের উপর কোনো আদেশ দেননি (নো অর্ডার) চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
ফলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে বাফুফের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। শেখ জামালের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
সোমবার (২৮ মার্চ) শেখ জামালের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট দল বদলের আগেই অন্য ক্লাব থেকে অগ্রিম অর্থ গ্রহণকারী আট ফুটবলারকে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবেই থাকতে হবে বলে। এছাড়া রুলও জারি করেন হাইকোর্ট।
রুলে ওই আট খেলোয়াড়কে কেন শেখ জামালে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ আট ফুটবলারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই আট ফুটবলার দলবদল শুরুর আগেই অন্য ক্লাব থেকে অবৈধভাবে অগ্রিম টাকা নিয়েছে। সেই টাকার চেকগুলো জানুয়ারিতে বাফুফের কাছে হস্তান্তরও করেছিলেন শেখ জামালের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু। এমনকি আট খেলোয়াড়ের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বাফুফের কাছে সম্প্রতি শেখ জামাল কর্তৃপক্ষ নালিশ দিলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বাফুফে।
এসব অভিযোগ উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট করেন শেখ জামাল কর্তৃপক্ষ। আট ফুটবলাররা হলেন মামুনুল ইসলাম, শাহেদুল আলম, রায়হান হাসান, ইয়ামিন মুন্না, জামাল ভুইয়া, নাসির, সোহেল রানা এবং আলমগীর কবির রানা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
ইএস/এটি