ঢাকা: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নেমেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট দল ম্যানচেস্টার সিটি আর স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। তবে, প্রথম লেগের ম্যাচে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।
ম্যানসিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায় (২৭ এপ্রিল, দিবাগত রাত) শুরু হয় হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটি। ফিরতি লেগের ম্যাচে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়ানো বার্নাব্যুতে আতিথ্য নেবে সিটিজেনরা।
ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে উঠা ম্যানসিটির হয়ে শুরুর একাদশে মাঠে নামেন জো হার্ট, অতামেন্ডি, ফার্নান্দো, ফার্নান্দিনহো, ডেভিড সিলভা, ডি ব্রুইন, সার্জিও আগুয়েরোর মতো তারকারা। আর রেকর্ড দশবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের হয়ে শুরুর একাদশে মাঠে নামেন কেইলর নাভাস, কারভাজাল, পেপে, সার্জিও রামোস, মার্সেলো, লুকা মদ্রিচ, ক্যাসেমিরো, টনি ক্রুস, ভারজকুয়েজ, করিম বেনজেমা আর গ্যারেথ বেল। ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে রিয়ালের গোলমেশিন খ্যাত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছিলেন না।
ম্যাচের প্রথম থেকেই দুর্দান্ত সব আক্রমণে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা নিজেদের ঘর সামলাতে ব্যস্ত থাকে। স্বাগতিক ম্যানসিটি স্বাভাবিক গতিতেই নিজেদের খেলা চালিয়ে যায়। মাঝমাঠের বল দখলেও লড়াইয়ের এগিয়ে ছিল সিটিজেনরা। ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখার চেষ্টার কিছুটা পেশীশক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
রোনালদো না থাকার পরও রিয়ালের তারকারা ম্যানসিটির ডি-বক্সে প্রবেশ করতে থাকে দুর্দান্ত গতিতেই। জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা সিটিজেনদের সীমানায় বল নিয়ে ভীড় জমালেও ফিনিশিংটা যেন কিছুতেই হচ্ছিল না। ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলতে থাকে রিয়াল। তবে, কম যায়নি ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলতে থাকা ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনির শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।
বিরতির পর ফিটনেস সমস্যায় থাকা রিয়ালের ফরাসি তারকা করিম বেনজেমাকে তুলে নেন কোচ জিদান। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রদ্রিগেজ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দারুণ সব টেকনিকে খেলা চালিয়ে পেল্লেগ্রিনির শিষ্যরা। তবে, গোলমুখে শট নেওয়ার আগেই স্বাগতিকদের থেমে যেতে হচ্ছিল। রিয়ারের বিশ্বসেরা ডিফেন্ডাররা সিটিজেন ফরোয়ার্ডদের একাধিকবার রুখে দেয়। ম্যাচের ৭০ মিনিটের মাথায় কারভাজালের তুলে মারা বলে হেড করেন রদ্রিগেজ। ম্যানসিটির গোলরক্ষক জো হার্ট লাফিলে উঠলেও বলের নাগাল পেতে ব্যর্থ হন। তাতেই শেষ রক্ষা হয়নি রিয়ালের। রদ্রিগেজের হেড করা বলটি গোলবারের উপরে লেগে বাইরে চলে যায়। পরের মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে টনি ক্রুসের নেওয়া দূরপাল্লার জোরালো শট পোস্টের অনেক উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।
৭৭ মিনিটের মাথায় নাভাসের বদলি হিসেবে সিটিজেন কোচ পেল্লেগ্রিনি দলের ধার বাড়াতে মাঠে নামান রাহিম স্টারলিংকে।
৮০ মিনিটের মাথায় কর্ণার থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছোঁয়ান ক্যাসেমিরো। ভাগ্য ভর করে ম্যানসিটির। দলের গোলরক্ষক জো হার্টের হাতে লেগে বল জালে না জড়িয়ে ফিরে যায়। দুই মিনিট পরেই আবারো ম্যানসিটিকে বাঁচিয়ে দেন হার্ট। গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে দেন ইংলিশ এই গোলরক্ষক। কর্নার থেকে পেপে আর বেলের মাঝে বল চলে আসলে একাই সামনে থেকে রুখে দেন হার্ট। পেপের জোরালো শটটি তার গায়ে লেগে ফিরে যায়।
ম্যাচের বাকি সময়ে কোনো দলই কাঙ্খিত গোলের দেখা না পেলে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানসিটি-রিয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, ২৭ এপ্রিল ২০১৬
এমআর