ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

টাইব্রেকারে শেখ রাসেলকে হারিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৬
টাইব্রেকারে শেখ রাসেলকে হারিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের হাড্ডাহড্ডি লড়াইয়ে টাইব্রেকারে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৪-২ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। শনিবার (৭ মে) শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম আবাহনী।

বুধবার (৪ এপ্রিল) ফাইনাল নির্ধারণী ম্যাচে শুরু থেকেই চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ছোট ছোট পাসে বেশ আক্রমনাত্মক খেলতে থাকে শেখ রাসেল। তাঁদের ছোট ছোট পাসের গোছালো আক্রমণ প্রথমার্ধেই ব্যতি-ব্যস্ত করে তোলে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ।

ঠিক এমনই এক গোছালো আক্রমণ রচনা করে প্রথমার্ধের ১৪ মিনিটে শেখ রাসেল স্ট্রাইকার শাখাওয়াত হোসেন রনি ভাঙ্গতে চেয়েছিল আবাহনীর রক্ষণ।

মাঝমাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডি-বক্সের ভেতর থেকে গোলপোস্টে শট নিয়েছিলে। কিন্তু গোলরক্ষক রানা বলটি নিপুন হাতে তালুবন্দি করলে গোলবঞ্চিত হয় শেখ রাসেল শিবির।

এর ঠিক দুই মিনিট পর আবার আক্রমণে যায় মারুফুল হকের শিষ্যরা। ডিফেন্সচেরা দারুণ এক আক্রমণ রচনা করে চট্টগ্রাম আবাহনীর সীমানায় গিয়ে দারুণ একটি ক্রস তুলেছিলেন ডিফেন্ডার অরুপ। কিন্তু ফিনিশারের অভাবে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

তবে প্রথম দুই আক্রমণে ব্যর্থ হলেও প্রথমার্ধের একেবারে শেষের আক্রমণে ঠিকই সফল হয় শেখ রাসেল। ইনজুরি টাইমে রনির শটটি গোলরক্ষক ফিচ করলে তা ফিরে ফিকরুর কাছে। আর সেই ফিরে আসা বলটি ফিকরুর জোরালো হেডে আবাহনীর জালে জড়ায়। ১-০ এর ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় শেখ রাসেল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আত্রমণের ধার বাড়ায় দু’দল। দারুণ জাদুকরী এক একটি আক্রমণ রচনা করে দু’দলই চেয়েছে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে।

তেমনই এক এক জাদুকরী আক্রমণ রচনা করে ৬৭ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনী ডিফেন্ডার প্রিউখের ক্রস থেকে প্লেসিং শটে শেখ রাসেল গোলে বল ঠেলে দিয়ে খেলায় সমতা আনেন আবাহনীর ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া।

সমতায় ফিরে আক্রমণভাগকে আরও শান দিয়ে জালে বল জড়াতে চেয়েছে দু’দলই কিন্তু খেলার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কেউই সেই কাজটি দক্ষতার সাথে করতে না পারলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়েরও ওই এক চিত্র। এলোমেলো আক্রমণ ও বিলাসী শটে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও চট্টগ্রাম আবাহনী লিড নিতে চাইলেও অতিরিক্ত সময়ের পুরো ৩০ মিনিটের প্রতিযোগীতা ফলাফল শূণ্য থাকলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম শটটি নেন শেখ রাসেলের ফিকরু। বেশ দক্ষতার সঙ্গে গোলটি করে শূণ্যে হাত তুলে ধরেন। আর চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে প্রথম শটেই সফল হন তারিক আল জানাবি। এরপর দ্বিতীয় শটটি শেখ রাসেলের হয়ে গোল করেন ভ্যালেরি। আর আবাহনীর হয়ে জালে বল চুমু খাওয়ান এলিসন উদুকা।  
তবে শেখ রাসেলের তৃতীয় শটটি মিথুন মিস করলেও মিস করেননি আবাহনীর লিওনেল প্রিউখ। আর তাতেই ৩-২ এ লিড পায় চট্টগ্রাম আবাহনী।

এরপর চতুর্থ শটটিও মিস করে বসেন শেখ রাসেলের শাহেদ আর সেই শটটিও বেশ দক্ষতার সাথে কাজে লাগান জাহিদ। আর তাতেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হওয়ায় বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়ে মাঠ ছাড়ে পুরো চট্টগ্রাম আবাহনী শিবির।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ৪ মে, ২০১৬
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।