বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: ইতিহাস গড়ে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে ঢাকা আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের শিরোপা জিতলো চট্টগ্রাম আবাহনী। এটি বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের যে কোনো টুর্নামেন্টে দলটির প্রথম শিরোপা।
শনিবার (০৭ মে) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ ও পাল্টা-আক্রমণে প্রকম্পিত হয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণভাগ। প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল দ্রাগো মামিচ ও জোসেফ পাভলিকের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে চট্টগামের মরক্কোর মিডফিল্ডার তারেক জানাবি একক প্রচেষ্টায় চেয়েছিলেন ঢাকা আবাহনীর জালে বল জড়াতে। কিন্তু গোলরক্ষক শাকিল তা প্রতিহত করলে গোলবঞ্চিত হয় চট্টগাম আবাহনী।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটের মাথায় ঢাকা আবাহনীর মিডফিল্ডার ইমন আহমেদ চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণভাগকে সম্পূর্ণ পরাস্ত করে শট নেন গোলবারে। তবে, তার শটটি লক্ষ্যভেদ হলে হতাশ হয় ঢাকা আবাহনী শিবির। এভাবেই প্রথমার্ধে একাধিক আক্রমণ চললেও সফলতা পায়নি কোনো দল।
ফলে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই জাল খুঁজে পায় চট্টগাম আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণভাগকে শান দিয়ে ঢাকা আবাহনী উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।
খেলার ৫৫ মিনিটে ঢাকার সীমানায় রুবেল মিয়ার পাস থেকে লিওনেল প্রইখ গোলরক্ষককে সম্পূর্ণ পরাস্ত করে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১-০তে এগিয়ে দেন।
এখানেই থেমে থাকেনি হলুদ রঙের জার্সিধারীরা। কেননা, প্রথম গোলের ৬ মিনিট পরেই ঢাকা আবাহনীর জালে দ্বিতীয়বার বল জড়ান রুবেল মিয়া। গোলবারের ডান প্রান্ত থেকে কৌশিক বড়ুয়ার ক্রসে ডি-বক্স সীমানায় দৃষ্টি নন্দন এক ভলিতে জালে বল জড়িয়ে দলকে ২-০তে এগিয়ে দিয়ে ঢাকা আবাহনীকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন তিনি।
ফাইনালের মতো হেভিওয়েট ম্যাচে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে ঢাকা আবাহনী। কিন্তু এই ইচ্ছে পূরণের পথে বারবারই বাধ সেধেছে দলটির আক্রমণ ভাগের ফুটবলারদের বিলাসী শট। ফলে ম্যাচ শেষে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, ০৭ মে ২০১৬
এইচএল/এমআর