ঢাকা: সাধে কি আর অলিম্পিককে বলে ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’! বিশ্বব্যাপী আর কোনো প্রতিযোগিতা নেই যেখানে সর্বগ্রাসী সব ব্যাপার ঘটে। এই মহা ক্রীড়াযজ্ঞের ৩০তম আসর বসেছিল ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে।
২০১২ সালের ২৭ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই আসরে অংশ নেয় ২০৪ টি দেশ। আর অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদ ছিলেন ১০ হাজার ৮২০ জন।
২০০৮ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের ৪৫৪ জন অ্যাথলেট আর ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের ২৬৫ জন অ্যাথলেটের ডোপিং স্যাম্পল রি-টেস্ট করানো হয়। তাতে, লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নেওয়া ২৩ অ্যাথলেটকে ড্রাগ নেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ব্রাজিলের রিওতে বসবে যাচ্ছে এবারের অলিম্পিক আসর। তার আগে শুক্রবার (২৭ মে) আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট থমাস বাচ জানান, ডোপিংয়ের সন্দেহ থাকায় আমরা বেশ কিছু অ্যাথলেটদের সংগ্রহে থাকা নমুনা রি-টেস্ট করতে দেই। তাতে ২৩ জন অ্যাথলেট ডোপিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।
তিনি আরও যোগ করেন, আমরা ডোপ পরীক্ষায় প্রমাণিতদের এবারের অলিম্পিকে অংশ নিতে দিচ্ছিনা। যে করেই হোক ড্রাগ নেওয়া অ্যাথলেটদের এবারের আসর থেকে দূরে রাখা হবে। আমি কমিটির সদস্যদের আদেশ দিয়েছি, তারা ডোপ-পাপীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমাদের রি-টেস্ট অব্যাহত থাকবে। হয়তো পরের সপ্তাহেই আরও কিছু অ্যাথলেটদের নাম বেরিয়ে আসবে যারা সত্যিকার অর্থেই ড্রাগ নিয়েও উতরে গেছেন।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ২০০৮ সালের আসরে অংশ নেওয়া ৩১ জন অ্যাথলেটকে ডোপ টেস্টে পজিটিভ বলে ঘোষণা দেয়। তাদেরও সংগ্রহে থাকা নমুনা রি-টেস্ট করানো হয়েছিল।
২০০৮ আসরে হাই-জাম্প ইভেন্টের ব্রোঞ্জজয়ী আন্না চিচেরোভা ডোপ টেস্টে পজেটিভ প্রমাণিত হন। পরে তিনি এক বিবৃতিতে জানান, আমি সত্যিই অবাক হচ্ছি এ ধরনের খবর শুনে। আমি এর কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারছিনা। আমি জানিনা কি করে এমনটা ঘটেছে। হয়তো আমার নেওয়া ঔষধের মাঝেই কোনো কিছু লুকিয়ে ছিল, যেটি আমি না বুঝেই গ্রহণ করেছিলাম।
নতুন প্রকাশিত ২৩ জন ডোপ-পাপী ছয়টি দেশের অ্যাথলেট ছিলেন বলে জানায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। তারা পাঁচটি ভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন বলেও নিশ্চিত করে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ২৭ মে ২০১৬
এমআর