চট্টগ্রাম থেকে: ঘটনাটি ঘটে প্রিমিয়ার লিগে শেখ রাসেল ও উত্তর বারিধারার ম্যাচ শেষের মাত্র ২ মিনিট আগে।
খালেকুজ্জামান সবুজের পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে ১-০ তে এগিয়ে থাকায় জয়ের শেষ উল্লাসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বারিধারা শিবির।
শুধু তাই নয় প্রথমার্ধের খেলায় শেখ রাসেল অধিনায়ক আতিকুর রহমান মিশু উত্তর বারিধারার ডি বক্সের ভেতর ঢুকে ডাইভ দেন। রেফারি ভেবেছিলেন তিনি পেনান্টি পাওয়ার আশায় কাজটি করেছেন। ফলে রেফারি পেনাল্টিতো দিলেনই না উল্টো দেখালেন হলুদ কার্ড। কিন্তু বাস্তবতা হলো তাকে হিল চার্জ করা হয়েছিল।
রেফারির এমন সিদ্ধান্তের জন্যই ম্যাচ শেষে মাঠে শেখ রাসেল কর্মকর্তারা রেফারির সঙ্গে কিছুটা চড়াও হয়ে তার গায় হাত পর্যন্ত তুলতে যায়।
এছাড়াও রেফারি ও লাইন্সম্যানদের এমন বিমাতাসুলভ আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শেখ রাসেল কোচ মারুফুল হক।
রোববার (২৪ জুলাই) রাতে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রেফারিং দেখে মনে হয়েছে নট আপ টু দ্য মার্ক। আমি দেখেছি ইকাঙ্গা শেষ ডিফেন্ডারের পেছনে ছিল। লাইন্সম্যান শুধু ম্যান ওয়াচ করেছেন। কিন্তু নিয়ম হলো লাইন্সম্যান বল ও ম্যান দুটোই খেয়াল করবেন। আফটার কিকিং বিফর কিকিং ফলো করতে হবে।
বিফর কিকিং সে অন সাইড আফটার কিকিং সে অফ সাইড। বিফর কিকিং যদি কেউ অন সাইডে থাকে তারপর যদি অফসাইডে যায় সেটা কোনোভাবেই অফসাইড হয় না। যেভাবে আমাদের পেনাল্টি দিয়েছে একই ঘটনা তারাও ঘটিয়েছে আমরা পেনাল্টি পাইনি। উল্টা হলুদ কার্ড দিয়েছে যেটা আস্তে করে হিল চার্জ ছিল। এই ম্যাচে হারের পেছনে আমার প্লেয়ারদের দায় ৫০ ভাগ, আর বাকি ৫০ ভাগ রেফারির।
নিজ দলের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে মারুফ বললেন, প্রথম ম্যাচটা যেভাবে শুরু করার কথা ছিল আমরা সেভাবে করতে পারিনি। কারণ আমাদের নয় নম্বর পজিশনে প্লেয়ার ঘাটতি ছিল। যদিও অনেক লং বল গিয়েছে কিন্তু সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখে আমার দল কম্বাইন্ড হয়ে খেলার মত কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
এইচএল/এসআর