ঢাকা: ‘যেহেতু চাইনিজ তাইপে কঠিন প্রতিপক্ষ তাই আমরা সেই ভাবেই মাঠে নেমেছিলাম। ম্যাচের শুরু থেকেই আমাদের উদ্দেশ্যে ছিল ভাল খেলবো।
শনিবার (৩ সেপ্টম্বর) এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ নারী ফুটবলে নতুন এক ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশের কিশোরীরা।
শক্তিশালী চাইনিজ তাইপেকে ৪-২ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই প্রথমবারের মত উঠে গেছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে।
তাই ম্যাচ শেষে এভাবেই তৃপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করলেন লাল-সবুজের এই দলপতি।
সন্দেহ নেই শক্তিমত্তা, মাঠের লড়াই এমনকি র্যাংকিংয়েও বাংলাদেশর চাইতে ঢেঢ় এগিয়ে চাইনিজ তাইপে। তার চাইতেও বড় কথা হলো এদিন ম্যাচের ১১ মিনিটে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে অধিনায়ক সু ইউ সুয়ানের দূর পাল্লার শটে গোলরক্ষক মাহমুদা পরাস্ত হলে ১-০তে এগিয়ে যায় চাইনিজ তাইপে।
সেই পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকে বেড়িয়ে এসে ম্যাচের বাদ বাকি সময় রীতিমত তাইপের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে বাংলাদেশের কিশোরিরা।
মূলত নির্ভয় ও অফুরন্ত আত্মবিশ্বাসের ফলেই পিছিয়ে থেকেও চাইনিজ তাইপের উপরে এভাবে বাংলাদেশ প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে বলে বিশ্বাস করেন কৃষ্ণা। ‘ওদের ভয় না পেয়েই আমরা এদিন মাঠে নেমেছি। গোল খাওয়ার পর আমরা এতটুকু ভড়কে যাইনি। কারণ তখনও ম্যাচের ৮০ মিনিট বাকি ছিল। প্রথম গোল খাওয়ার পরেও আমরা আমাদের মন ভাঙিনি। কারণ মন ভাঙলে দল দুর্বল হয়ে যাবে সেটা আমি জানি। তাই অধিনায়ক হিসেবে আমি সবাইকে উতসাহ দিয়েছি যে আমরাও গোল করবো। সেটা আমরা শেষ পর্যন্ত করেছি। ’
এটা সত্যিই অভাবনীয় যে এবারের আসরের দুই ফেবারিট ইরান ও চাইনিজ তাইপেকে হারিয়ে বাংলাদেশের কিশোরিরা খেলবে ২০১৭ সালে চীনের মূল পর্বে। মজার ব্যাপার হলো অভাবনীয় এই বিষয়টিই এখন সত্যি হয়ে ধরা দিয়েছে কৃষ্ণাদের শিবিরে তাই ভীষণ আপ্লুত এই বাংলাদেশ কান্ডারী।
‘আসলে এটা ভাবার মত না যে আমরা মূল পর্বে যাব। কারণ মহিলা দল অনেক দিন ধরে খেলছে ও র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে আছে। আসলে আমরা এতটা এগিয়ে গেছি যে কল্পনা করার মত না। অনেক ভাল লাগছে যে আমরা এতদুর পৌঁছে গেছি। ’ যোগ করেন কৃষ্ণা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস