ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

ফুটবল

খেলার সময় মাঠ কাঁপবে, আপত্তি ফিফার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৬
খেলার সময় মাঠ কাঁপবে, আপত্তি ফিফার ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ২০১৮ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামের ভ্রাম্যমাণ ফুটবল মাঠের স্থিতিশীলতা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ফিফা। খেলা চলাকালীন মাঠটি কতটা স্থির থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

৬৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে একটি সেমিফাইনাল সহ বিশ্বকাপের মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। স্টেডিয়ামটি তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন পাউন্ড।

সম্প্রতি রাশিয়ার এই স্থানান্তর যোগ্য স্টেডিয়ামটি পরিদর্শনে যান ফিফার প্রতিনিধি দল। তারা মাঠটি ঘুরে দেখার পর এর স্থিতিশীলতা নিয়ে রাশিয়ার আয়োজকদের কাছে উদ্বেগ জানান। ফিফার প্রকৌশলীরা জানান, স্টেডিয়ামটি নতুন করে স্বল্প সময়ে ফিফার চাহিদা অনুযায়ী ঠিক করে ফেলা সম্ভব।

২০১৭ সালের কনফেডারেশন্স কাপের খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সেন্ট পিটার্সবার্গে। তার আগেই রাশিয়ার আয়োজক কমিটিকে জানানো হয়েছে স্টেডিয়ামটিকে দ্রুত ঠিক করে ফেলতে। ফিফার প্রতিনিধি দলের মতে, খেলা চলাকালীন এতোবড় একটি স্থাপনার স্থির থাকাটা অসম্ভব।

ফিফা থেকে জানানো হয়, স্টেডিয়ামটি তৈরিতে রাশিয়ার আয়োজক কমিটি কিছু কিছু নির্দেশনা মেনে চলেনি। এমন মাঠ তৈরিতে দরকার শক্ত ভিত্তি। কিন্তু, মাঠে খেলা চললে এই মাঠটি কেঁপে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। যা খেলার জন্য সত্যিই উপযোগী নয়। আমাদের বিশ্বাস তারা এই ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাববে এবং খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। ফিফা বিষয়টি সর্বদা মনিটর করবে।

ফিফার একটি সূত্র জানায়, সংস্থাটির বিশ্বাস রাশিয়ার আয়োজকরা যথা সময়ে সমস্যা গুলোর সমাধান করে স্টেডিয়ামটি হস্তান্তর করবে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে এই মাঠে পরীক্ষামূলক খেলা গুলো আয়োজন করতে পারবে ফিফা।

এদিকে, রাশিয়ান আয়োজক কমিটির এক মূখপাত্র জানান, ‘আমরা এই স্টেডিয়ামের জন্য ১০ বছর শ্রম দিয়েছি। কিন্তু, কি পেলাম? আমাদের কি করা দরকার? এতো এতো অর্থ খরচ করেও যদি ফিফার চাহিদা অনুযায়ী আমরা স্টেডিয়ামটি হস্তান্তর করতে না পারি, সেটি দুঃখজনক। এখন বলছেন খেলা যাবে না, মাঠটি অনুপোযোগী। সত্যিই হতাশার!’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ০৬ নভেম্বর ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।