ঢাকা: বেশ কিছুদিন ধরেই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কর ফাঁকি দেওয়ার খবর উড়ছে। এরই মধ্যে নতুন খবর প্রকাশ হলো।
পর্তুগালের পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৩,৫৫২ ইউরো রয়েছে সিআর সেভেনের। এ ছাড়া রয়েছে প্রচুর লগ্নি করা অর্থ। স্পেনের বাইরে রয়েছে ২০ কোটি ৩.৭ লাখ ইউরো। আর দেশে রয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো।
৩১ বছর বয়সী রোনালদো সব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি এমন কিছু করেননি যেটা ভুল। গত সপ্তাহেই তার ফিনান্সিয়াল সংস্থা ২০১৫ সালের করের হিসেব দিয়েছে। যদিও ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত করের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও নানা অভিযোগ উঠছে রোনালদোর বিরুদ্ধে। যা খতিয়ে দেখছে স্প্যানিশ ট্যাক্স অথরিটি।
এদিকে ক’দিন আগেই রোনালদোর কর ফাঁকির ব্যাপারে ইউরোপের কয়েকটি নামী দৈনিক অভিযোগ আনে । তাদের অভিযোগ ছিল, বিদেশি অ্যাকাউন্টের সাহায্যে কর ফাঁকি দিয়েছেন সিআর সেভেন। হিসেব মতো যা প্রায় ১৫ কোটি ইউরো। কিন্তু রোনালদোর এজেন্ট জর্জ মেন্ডেস জানান, রোনালদো মোটেই দোষী নন।
নাটক অন্য মোড় নেয় স্পেনের সরকার এর মধ্যে হস্থক্ষেপ করায়। স্প্যানিশ সরকার জানিয়ে দেয়, ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। স্পেনের রাজস্য বিভাগের কর্মচারী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত সংস্থা গেস্থা জানিয়েছে, পুরোদমে তদন্ত হবে। সরকারি আইজনজীবীকে সমস্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলাও হবে।
রোনালদো দোষী সাব্যস্ত হলে কর ফাঁকি দেওয়ার বিভিন্ন ধারায় ছয় বছরের হাজতবাসও করতে হতে পারে তার। কিন্তু তিনি নিজে কর ফাঁকির কথা স্বীকার করলে শাস্তি কম হতে পারে। বড়জোর আঠারো মাসের জেল। অর্থাৎ মেসির মতোই হাজতবাস করতে হবে না। কারণ ২৪ মাসের বেশি হাজতবাসের রায় না হলে কাউকে জেল খাটতে হয় না স্পেনে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬
এমএমএস