ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মনি বেগমের অবস্থা সংকটাপন্ন, মুখে কুলুপ এঁটেছে বাফুফে

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
মনি বেগমের অবস্থা সংকটাপন্ন, মুখে কুলুপ এঁটেছে বাফুফে মনি বেগমের অবস্থা সংকটাপন্ন/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মনি বেগমের সন্তানদের দাবি, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই হঠাৎ ফেডারেশনের হেড অব প্রোটোকল পদ থেকে কেবল চাকরিচ্যুত কর‍াই নয়- পাওনা টাকা চাইতে গেলে লাঞ্ছিত করা হয় মনিকে।

অপমান সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। স্ট্রোক কর‍ার পর থেকে সজ্ঞাহীন মনি বেগম।

রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসকরা বলছেন, মনি বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  তার মেয়ে সৈয়দা সারাবান তহুরা জানান, মনি বেগমকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। মাঝে মাঝে চোখ খুলছেন, কিন্তু কাউকে চিনতে পারছেন না।

“মা দীর্ঘ দিন থেকে ফুটবল ফেডারেশনে কাজ করছিলেন। তিনি ফুটবলের জন্য অনেক কিছু করেছে। একজন ক্যান্সারের রোগীকে ফেডারেশনের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই। চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়ার আগে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি” যোগ করেন তিনি।

বাফুফের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে চাকরিবিধি অনুযায়ী মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পাওনার বিষয়ে আলোচনার জন্য যান মনি বেগম। আলোচনার এক পর্যায়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।  কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে মুখে পর্যন্ত এ ঘটনা ঘুরলেও দাঁতে দাঁত চেপে আছে বাফুফে!

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কখনোই মোবাইল ফোন খোলা পাওয়া যায়নি।

মনি বেগমের ছেলে মো. নোমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ক’দিন আগেও যখন আমি আম্মুকে অফিসে (বাফুফে) নিয়ে গেলাম তখনও বাফুফে’র প্রেসিডেন্ট মাকে বিশ্রাম নিতে বলেন। বলেন, অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজে আসার দরকার নেই। এরপর ৬ ফেব্রুয়ারিতে যখন মা একাই যান, তখন সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন ‘আপনার প্রেসার নেওয়ার দরকার নেই। আপনার জায়গায় আমরা এখন একজন ম্যানেজার নিয়োগ দেবো’। বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ করলে মিটিং করে বাফুফে। সেখানে বাকি পাওনা টাকা এবং ফেয়ারওয়েল’র দেওয়ার দাবি জানান মা। কিন্তু বাফুফে তাতে রাজি হয়নি।

নোমানের হিসাবে তার মা এখনও তিন মাসের পুরো বেতন এবং গত ১০ বছরের বেশ কিছু টাকা পাবেন।  মনি বেগমের সন্তানরা তাদের তাদের মায়ের লাঞ্ছনার বিচার দাবি করেন।

বছর দশেক আগে সভাপতির ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে মনি বেগম বাফুফেতে যোগ দেন। কিছুদিন আগে তাকে হেড অব প্রোটোকল হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
জেএইচ/এমএমএস/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।