ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস ছেড়ে ২০১৩ সালে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায় পাড়ি জমান নেইমার। সে সময় ট্রান্সফার ফি গোপন করেছিলেন নেইমার ও তার পরিবার, এমন অভিযোগ ওঠে।
নেইমার আর বার্সার ট্রান্সফার ফি’র মধ্যস্থতাকারী ডিআইএসের প্রতিষ্ঠাতা দেলসির সোনদা জানান, ‘নেইমার কখনো শিশুদের আইডল (আদর্শ) হতে পারে না। নেইমারের জার্সি গায়ে তাকে কেউ সমর্থন দিলে সেটি দুর্নীতিকেই সমর্থন দেওয়া হবে। ’
বার্সা যোগদান নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে নেইমার আপিল করলেও পরে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরফলে তাকে মামলার মুখোমুখি হতে হয়। কী পরিমাণ অর্থ কাতালান ক্লাব নেইমারকে দিয়েছিল, তা আজও অপ্রকাশ্য। নেইমারের বাবা এবং বার্সার সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে সান্দ্রো রোসেল এবং জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউও এই অভিযোগে অভিযুক্ত।
ডিআইএসের প্রতিষ্ঠাতা দেলসির সোনদা আরও জানান, ‘নেইমারের সঙ্গে বার্সার চুক্তি অনুয়ায়ী ট্রান্সফারের ৪০ শতাংশ টাকা পাওয়ার কথা ছিল আমাদের। কিন্তু ট্রান্সফার নিয়ে লুকোচুরি করায় তা থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমরা। এটা আমাদের কাছে দুর্নীতির বড় একটি উদাহরণ। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘নেইমার আমাদের সঙ্গে যেমন প্রতারণা করেছে, তার বাবা-মাও আমাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। তারা মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে। অনবরত মিথ্যেকেই সমর্থন করে যাচ্ছে। নেইমার কখনোই আমাদের শিশুদের জন্য আইডল হতে পারে না। তার মিথ্যার আশ্রয় নেওয়াকে শিশুদের সামনে তুলে ধরতে পারবো। সে প্রতারণার একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ’
ট্রান্সফার ফি’র মধ্যস্থতাকারী ব্রাজিলের সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, বার্সা সান্তোস থেকে নেইমারকে নেওয়ার সময় তার বাবাকে ট্রান্সফার ফি’র বাইরেও ৪০ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে। যার ফলে ট্রান্সফার ফি’র পরিমাণ দাঁড়ায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু ক্লাব সত্য গোপন করে অনেক কম ট্রান্সফার ফি ঘোষণা করে। ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে নেইমারকে কিনতে ৫ কোটি ৭১ লাখ ইউরো খরচ হওয়ার কথা প্রথমে জানিয়েছিলেন বার্সা। কিন্তু পরে ক্লাব স্বীকার করে যে, খেলোয়াড় ও তার বাবার সঙ্গে অন্যান্য চুক্তির কারণে ট্রান্সফার ফি বেড়ে ১০ কোটি ইউরোর কাছাকাছি হয়ে যায়। ডিআইএসের কাছে নেইমারের ক্রীড়া স্বত্বের ৪০ শতাংশ ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ৩০ মার্চ ২০১৭
এমআরপি