বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স ও জাগরণ বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাফুফেকে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন)। এই দলটিই একসময় জাতীয় দলের হাল ধরে বয়ে আনবে ধারাবাহিক সাফল্য এমনটা ফুটবল সংশ্লিষ্টদের আশা।
সেই পরিকল্পনায় নারীদের নিয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ব্যবস্থা করছে ফেডারেশন। ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো এএফসি-১৬ মেয়েদের ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে স্থান করে নিয়েছে কৃষ্ণা-সানজিদারা। সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে আট দলের মধ্যে হবে এই পর্বটি। তাতে বাঘা বাঘা দলের বিপক্ষে নিজেদের পরীক্ষা দিতে হবে কৃষ্ণাদের।
সেই পরীক্ষায় যাতে উত্তীর্ণ হতে পারে সেজন্য প্রস্তুতির অভাব রাখছে না বাফুফে। মেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন সময় ট্যুর করিয়েছে। জাপান, থাইল্যান্ডে সফর করেছে মেয়েরা। এবার প্রথমবার চীন সফর করতে গিয়েছে তারা।
চীনের অ-১৪ দলের সঙ্গে ২২, ২৪ ও ২৬ এপ্রিল তিনটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে তহুরারা। এর মধ্যে ২৩ ও ২৫ এপ্রিল ম্যাচ খেলবে জিয়াং একাডেমির সঙ্গে। টানা পাঁচদিন ব্যস্ত সময় পার করবেন প্রস্তুতিতে। ভিন্ন পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার লড়াইয়ে নামছেন তারা। এরপর ২৭ এপ্রিল দেশে ফিরবেন।
দেশে ফিরেই চলবে টানা অনুশীলন। দিনে তিনবার করে অনুশীলনে ঘাম ঝড়াবেন কৃষ্ণারা। কৃষ্ণাদের বিশেষ অনুশীলনে মেয়েদের নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনার দরুণ তাদের খাদ্যাভাস ও জীবনাচরণের পরিবর্তন ঘটিয়েছে বাফুফে। এতে করে মেয়েরা আরও বেশি মনোবল ও ব্যক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করবে বলে মনে করেন বাঠুফের ট্যাকনিকাল ডিরেক্টর পল স্মলি।
মেয়েদের নিয়ে এই পরিকল্পনা কী তাদের সাফল্য নিয়ে আসছে? বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বাদল রায় জানান, ‘মেয়েরা যে খুব উচ্চতায় উঠে গেছে তা নয়, তবে উন্নতি করছে। তাদের দলে স্বতন্ত্র অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। পাশাপাশি তাদের সুযোগ সুবিধাও ভালো দেয়া হচ্ছে। পাইপলাইনে খেলোয়াড়ও ভালো আছে। তাই দলটি ভালো করছে। '
সাফল্যের ফল র্যাংকিংয়েও স্পষ্ট। ফিফার সর্বশেষ র্যাংকিংয়ে মেয়েদের অবস্থান ১০৩। অন্যদিকে পুরুষদের অবস্থান ১৯৩। নারী দলের সাফল্য অব্যাহত রাখতে পাইপলাইন নিয়ে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাদল রায় বলেন, 'পাইপলাইন যত শক্ত হবে ততই দেশ এগিয়ে যাবে। '
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ২০ এপ্রিল, ২০১৭
জেএইচ/এমআরএম