রোববার (২৩ এপ্রিল) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাতালানদের আতিথ্য দেবে লস ব্লাঙ্কসরা। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায়।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের হতাশা ভুলে ঘুরে বার্সার দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জও থাকছে। ক’দিন আগেই চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল (জুভেন্টাসের বিপক্ষে) থেকে বিদায় নেয় লুইস এনরিকের দল।
সব মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ উপভোগ্য একটি ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় দর্শকরা। ১৯২৯ সাল থেকে ১৭৩টি লিগ ম্যাচের মধ্যে ৭২টিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। বার্সায় জয় ৬৮ ম্যাচে। ৩৩টি ম্যাচ ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয়।
টানা সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ডটি রিয়ালের দখলে। ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৬৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাক-টু-ব্যাক ছয়টি ম্যাচ জিতে নেয় গ্যালাকটিকোরা।
সে যাই হোক, ১৯৭৩ সালের পর থেকে রিয়ালের আধিপত্যে ফাটল ধরে! ওই সময়ে মাদ্রিদের ৪৩ ও বার্সার জয়ের সংখ্যা ছিল ২৮। কিন্তু, এরপর থেকে ৪০টি এল ক্লাসিকোতে জয় উদযাপন করে বার্সা। রিয়ালের জয় আসে ২৯ ম্যাচে।
২০১১ সালে রিয়ালের টানা জয়ের রেকর্ডটি প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিল বার্সা। কিন্তু, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শেষদিকের গোলে টানা পাঁচ ম্যাচ পর বার্সার জয়ের দৌড় থামে।
হোম ম্যাচে এল ক্লাসিকো মহারণে এগিয়ে রিয়াল। ৫২টি জয়ের বিপরীতে ১৫টি ড্র ও ১৯ ম্যাচে হার মানে তারা। অন্যদিকে, ৪৯ ম্যাচে জয়োল্লাসে মাতে বার্সা। ১৮টি ড্র ও ২০ ম্যাচে হেরে যায়।
২০১৫ সালের নভেম্বরে রিয়ালকে তাদের মাঠেই ৪-০ গোলে হারের লজ্জায় ডুবিয়েছিল বার্সা। পরের বছরের এপ্রিলে ন্যু ক্যাম্পে ২-১ ব্যবধানের জয়ে মধুর প্রতিশোধ নেন সার্জিও রামোসরা।
লা লিগায় ১৯২৯ সালের পর থেকে দু’দল মিলে এখন পর্যন্ত মোট ৫৫৫টি গোল করেছে। ম্যাচপ্রতি গোলের গড় ৩.২। রিয়ালের গোলস্কোর ২৮১টি ও বার্সার ২৭৪। মাদ্রিদের হোম গোল ১২৯ ও বার্সার ১৭১। আবার অ্যাওয়ে ম্যাচে রিয়ালের চেয়ে এক গোল এগিয়ে বার্সা (১০৩)।
দু’দলের হাইস্কোরিং ম্যাচ বহু আগের। ১৯৩৫ সালে বার্সাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল রিয়াল। ১৯৪৩ সালে অনুষ্ঠিত রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ৫-৫ গোলে ড্র হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, ২৩ এপ্রিল, ২০১৭
এমআরএম