এর আগেও অ-১২ ও অ-১৩ ইভেন্টে বয়স চুরির অভিযোগ উঠেছিল। এবারও একই অভিযোগ অ-১৮ জাতীয় ফুটবলে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে টুর্নামেন্টের ৫০ খেলোয়াড়কে বাদ দেয়া হয়েছে বয়স চুরির অভিযোগে। এর ফলে টুর্নামেন্টও হলো বিবর্ণ। সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় বাদ পড়েছে ঢাকা জেলা থেকে। ১২ জন। চট্টগ্রাম দল থেকে বাদ ১০ জন। বাকি পাঁচ জেলা দলের পাঁচ–ছয়জন করে ছাঁটাই হয়েছেন।
চূড়ান্ত পর্বে এসে এতো খেলোয়াড় বাদ পড়াতে টুর্নামেন্টের লক্ষ্যে চিড় ধরেছে বলে মনে করেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আবু জোবায়ের নিপু, ‘চূড়ান্ত পর্বে আসা আট দলের প্রায় ৫০ জন ফুটবলারকে বেশি বয়সের কারণে ছেঁটে ফেলতে হবে ভাবতেই পারিনি। ’
সেই সঙ্গে একটি প্রশ্ন ঘুরে ফিরে দেখা দিচ্ছে- তাহলে বাদ পড়া খেলোয়াড়রা প্রাথমিক পর্ব খেললো কিভাবে?
এতো করে বাফুফের বয়স যাচাই প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকছে। টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে প্রতিটি ভেন্যুতে একজন করে ডাক্তার ও কোচ পাঠিয়েছিল বাফুফে। প্রাথমিক যাচাইয়ের পর প্রত্যেকে মাঠে নেমেছে। এরপর ফের বয়স চুরির অভিযোগে দ্বিতীয়বার যাচাই বাছাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে প্রথমবার অনেকেই ভুয়া জন্ম সনদপত্র দেখিয়ে পাস পেয়েছে। তারপর আবার যাচাই। সেখানে বাদ পড়ে আরও ৫০। তাহলে প্রথমবার ওই খেলোয়াড়গুলো টিকে গেল কীভাবে।
বাফুফের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, বয়স চুরি যাচাই বাছাই করা কঠিন। তাহলে কিভাবে প্রকৃত বয়সের খেলোয়াড়রা উঠে আসবে এই দুর্বল যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে? বাফুফের নেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বয়স যাচাইয়ে ব্যবস্থাও। সেই সুযোগে অ-১৮ এর জায়গায় ২২-২৩ বছরের ছেলেদেরও খেলিয়েছে অনেক দল।
এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে রোববার (২৩ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে অ-১৮ জাতীয় ফুটবলের চূড়ান্ত পর্ব। আট দল নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সব খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
অনিয়মিত বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের কারণে এমনটা হচ্ছে। নিয়মিত লিগ ও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ালে বয়স চুরির অভিযোগ পাওয়া যেত না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ২৩ এপ্রিল, ২০১৭
জেএইচ/এমআরএম