রোববার সান্থিয়াগো বার্নাব্যুতে আতিথিয়েতা নিতে যায় বার্সা। আর এদিন বার্সার হয়ে যে কোনো প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৯৮ গোল নিয়ে খেলতে নামেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এদিন ম্যাচের ৩৩ মিনিটে প্রায় একক দক্ষতায় ৪৯৯তম গোলটি করেন মেসি। এই গোলে তিনি রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি আলর্ফাডো ডি স্টেফানোকে পেছনে ফেলে এল ক্লাসিকোর সর্বোচ্চ গোলদাতাও হন।
সব প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের পরিসংখ্যানে আগেই শীর্ষে ছিলেন মেসি। লিগ ম্যাচেও সবার উপরে অবস্থান করছেন। ছাড়িয়ে যান স্বদেশি লিজেন্ড স্টেফানোর ১৪ গোলের রেকর্ড। সব মিলিয়ে মেসির এল ক্লাসিকো গোলের সংখ্যা ২৩। এ তালিকায় ১৮ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানধারী স্টেফানোকে টপকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (১৬)। লিগে ৮টি গোল করেছেন সিআর সেভেন।
রেফারির দেওয়া অতিরিক্ত তিন মিনিটেই বাজিমাত করেন মেসি। জর্দি আলবা থেকে পাওয়া বল বাঁ পায়ের শটে জালে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। সেই সঙ্গে জয়ও নিশ্চিত করেন তিনি। ৩-২ ব্যবধানের বিজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এনরিক শিষ্যরা।
নিজের পেশাদারি ক্যারিয়ারে পুরোটা সময়ই এখন পর্যন্ত বার্সাতে রয়েছেন মেসি। যেখানে শৈশবের ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ থেকে ২০০১ সালে ১৪ বছর বয়সে বার্সায় পাড়ি দেন তিনি। যুব দল থেকে তিন বছর পর সিনিয়র দলে নাম লেখান।
পরে ২০০৪ সালের অক্টোবরে ডার্বি ম্যাচে এসপানিওলের বিপক্ষে বার্সার জার্সিতে অভিষেক হয় পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর। সে সময়ের সহকারী কোচ হেঙ্ক টেন কাটে বলেছিলেন, ‘মেসি যদি তার পুরো ক্যারিয়ার বার্সার হয়ে খেলতো। ’
পরের বছরের মে মাসে নিজের ৫০০ গোলের প্রথম গোলটি করেন মেসি। আলবাকেটের বিপক্ষে সেই গোলের পর ভেঙেছেন একের পর এক রেকর্ড।
২০১২ সালে সব ধরনের ক্লাব প্রতিযোগিতায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৭৩ গোল করে রেকর্ড গড়েন মেসি। সেই বছরই এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ৭৯ গোলের রেকর্ড গড়েন।
২০১৪ সালে সেভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে হন লা লিগার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। পেছনে ফেলেন তেমো জারার ২৫১ গোলকে। আর সর্বশেষ রিয়ালের বিপক্ষে এমন কীর্তিতো তাকে সবার অনেক ওপরেই নিয়ে গেছে। পাশাপাশি বয়স ২৯ হওয়ায় এখনও অনেক রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে মেসির।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, ২৪ এপ্রিল, ২০১৭
এমএমএস