এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করে চেলসি। ২০০৪-০৫ ও ২০০৫-০৬ মৌসুমেও ২৯টি জয় পেয়ে মৌসুম শেষ করেছিল ব্লুজরা।
প্রথম একাদশ ও অধিনায়ক হিসেবে ফিরে ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখেন জন টেরি। এ মৌসুমে বেশিরভাগ ম্যাচেই সাইড বেঞ্চে কাটাতে হয়। কন্তের অধীনে এটি ছিল তার অষ্টম লিগ ম্যাচ। মৌসুম শেষেই দীর্ঘ ১৯ বছরের চেলসি অধ্যায়ের ইতি টানতে পারেন ইংলিশ আইকন। এমনকি ফুটবল ক্যারিয়ারকে বিদায় বলে দিতে পারেন ৩৬ বছর বয়সী সেন্টারব্যাক।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে টেরির গোলেই ২২ মিনিটে লিড নেয় চেলসি। অবশ্য দু’মিনিট বাদেই ওয়াটফোর্ডকে সমতায় ফেরান মিডফিল্ডার এতিয়েন্নে কাপু। ৩৬ মিনিটে ডিফেন্ডার সিজার আজপিলিকুয়েতার গোলে আবারো লিড নেয় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর চার মিনিটের মাথায় স্কোরলাইন ৩-১ করেন ওয়েস্ট ব্রমের মাঠে (১-০) শিরোপা নিশ্চিত করা বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড মিখি বাতশুয়াই। এর দু’মিনিট পরেই ভিজিটরদের ম্যাচে ফেরান ডাচ ডিফেন্ডার ডারিল জানমাত। ৭৪ মিনিটে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ওয়াটফোর্ডের ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড স্টিফানো ওকাকা।
ম্যাচ যখন সমতায় শেষের দিকে চেলসির ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হন স্প্যানিশ তারকা ফ্যাব্রিগাস। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে জয়সূচক গোল উপহার দেন বিশ্বকাপ জয়ী এ মিডফিল্ডার। ইনজুরি সময়ে ডিফেন্ডার সেবাস্তিয়ান প্রোডলের লাল কার্ডে দশজনের দলে পরিণত হয় ওয়াটফোর্ড। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর ঘরের মাঠে শিরোপা উল্লাসে মাতে কন্তের শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, ১৬ মে, ২০১৭
এমআরএম