৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে সাইফ পাওয়ারটেক ঢাকা মহানগরী সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগে। অভিযোগটি এসেছে সাধারণ বীমা থেকে।
গত রোববারের (২১ মে) ম্যাচটিতে আসলে কী হয়েছিল? হারলেই রেলিগেশনে সোজা সিনিয়র ডিভিশন থেকে সেকেন্ড ডিভিশনে নেমে যেতে হবে। এমন সমীকরণের সামনে ছিল দুই দল। সাধারণ বীমা ও ফ্রেন্ডস সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। দুই দলেই রেলিগেশনের জন্য সুতোয় ঝুলছিল। রেলিগেশন এড়াতে দুই দলের দরকার মাত্র একটি জয়।
কিন্তু দুই দলের চলতি মৌসুম বলছে, এই ম্যাচে দু’দলের জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ গত ১০ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে ফ্রেন্ডস সোস্যাল। অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে আছে ঢাকা ইউনাইটেড এসসি। দুদলের পয়েন্ট পার্থক্যও বিশাল। এমন ম্যাচে ঢাকা ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় নিয়ে ফিরেছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা ফ্রেন্ডস সোস্যাল। তাও আবার ২-০ গোলের ব্যবধানে।
ম্যাচের ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, যে দুটি গোলই হয়েছে তাতে ঢাকা ইউনাইটেডের গোলরক্ষক শুধু ‘দাঁড়িয়ে থাকার অভিনয়’ করেছেন। দ্বিতীয় গোলেও স্পষ্টত গোলরক্ষকের দিকে শট নেয়া একেবারে দুর্বল শট পায়ের তল দিয়ে জালে জড়িয়েছে। দলের অধিনায়কও পেছন থেকে দাঁড়িয়ে থেকে গোল হজম দেখছে।
এর আগে ম্যাচের সময় সাধারণ বীমার কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, ঢাকা ইউনাইটেডের কর্মকর্তারা আমাদের কাছে ৫ লাখ টাকা দিতে বলেছিল। আমরা দেইনি। তাই তারা সোস্যালদের সঙ্গে ম্যাচ পাতিয়ে তাদের জিতিয়ে দিয়েছে। ’
ম্যাচ পাতানোর সত্যতা এসেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ফুটবল লিগ কমিটির সভাপতি হারুনুর রশিদ, ‘ম্যাচটি নিয়ে শুনেছি। ওই দুই দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ম্যাচটা তার সমঝোতার মাধ্যমেই খেলেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব। ’
এই জয়ে রেলিগেশন এড়িয়েছে ফ্রেন্ডস সোসাল। রেলিগেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিভাগে নেমে গেছে সাধারণ বীমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ২৩ মে, ২০১৭
জেএইচ/এমআরএম