রোববার (০২ জুলাই) মতিঝিলের সোনালি অতীত ক্লাবে ফুটবল অনুশীলনের পর অসুস্থ বোধ করেন নকীব। তার স্ত্রী ডা. সৈয়দা নাজলী মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আমিনুল জানান, ‘নকীবের অসুস্থতার খবরে শুনে তার খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তার খোঁজ নিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি নকীবের আশু রোগমুক্তি কামনা করেছেন। ’
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে আমিনুল আরও জানান, ‘নকীব বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। এদেশের ফুটবলে নকীবের অবদান অনেক। তার দ্রুত সুস্থতায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। ’
১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর জাতীয় দলে খেলা এই তারকা ফুটবলারের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে।
১৯৯০ সালে মোহামেডানের জার্সিতে দুর্দান্ত পারফর্মেই পরিচিত ফুটবলার হয়ে ওঠেন নকীব। দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারে পরিনত হতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি। মোহামেডানেই খেলেছেন ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়। ১৯৯৩ সালে তিনি মোহামেডান ছেড়ে মুক্তিযোদ্ধায় যোগ দেন।
১৯৯১ সালে সিউলে প্রি-অলিম্পিক বাছাইয়ে ফিলিপাইনকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সে ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ নকীব একাই করেছিলেন ৫ গোল। এটি যেকোনো ধরনের ফুটবলেই বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড। ঘরোয়া ফুটবলে ১০০ গোলের রেকর্ড গড়া নকীব ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে চার জাতি ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে গোল করে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ০৩ জুলাই ২০১৭
এমআরপি