বিয়েতে অতিথিদের উপহার না দিতে অনুরোধ করেছিলেন মেসি-রোকুজ্জো। অতিথিদের অনুরোধ করেছেন ‘লিও মেসি ফাউন্ডেশনে’ উপহারের অর্থ দান করতে।
বিশ্ব ফুটবলের নক্ষত্ররা ছাড়াও মেসির বিয়ের সাক্ষী থাকতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জগতের তারকারা। মোট ২৬০ জন অতিথি নিমন্ত্রিত ছিলেন এই বিয়ের আসরে। এই অনুষ্ঠান গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক ১৫৫ জন সংবাদিককে ‘অ্যাক্রিডিটেশন’ কার্ড দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন তারকারা যোগ দেন এ বিয়ের অনুষ্ঠানে। তাদের আপ্যায়ন করতে রোজারিওর সিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় বিভিন্ন বিখ্যাত ও নামি দামি খাবারের। আয়োজন করা হয় রাজকীয় ভোজের।
২৬০ জন ভিআইপি অতিথির জন্য শুরুতেই ছিল ব্রেড আর ১২ রকমের সালাদ, নানা স্বাদের সসেজ, প্যাটিস, হালকা নাস্তার পর ভারি খাবার। আর্জেন্টাইন ঝাল খাবারের বাহারি আয়োজনও ছিল। মেসির বিয়ের খাওয়া-দাওয়ার মেনুতে ছিল বিখ্যাত লোক্রো স্টু ও এস্প্যানাদা প্যাস্টি। ছিল আর্জেন্টাইন গরুর রোস্ট, মাখন মাখানো মাংস, মুরগির চপ, সুসি।
বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে অনেক খাবার ও পানীয় অবশিষ্ট ছিল। দাতব্য প্রতিষ্ঠানে এসব খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেন রোজারিও ফুড ব্যাংক। সংগঠনটির ডিরেক্টর পাবলো অ্যালগ্রেইন এ প্রসঙ্গে জানান, ‘এই খাবারের সবগুলোই মজুত থেকে এসেছিল এবং আমরা সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করেছি। তবে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি সেগুলোর পরিমান কেমন ছিল। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আমরা বলেছিলাম কোমল পানীয় এবং স্ন্যাকস গ্রহণ করতে পারব। ’
রোজারিওর সিটি সেন্টার ক্যাসিনোকে সাড়ে চারশ পুলিশ, গোয়েন্দা কর্মকর্তা নজিরবিহীন নিরাপত্তা দেয়। মেসির বিয়েতে যোগ দিতে তারকারা আসেন ব্যক্তিগত বিমানে। ৭০ জন হেয়ারস্টাইলিস্ট ছিলেন অতিথিদের সাজ পোশাক সামলাতে। এ জন্যই হয়তো মেসির বিয়েকে বলা হচ্ছে ‘শতাব্দীর সেরা বিয়ে’।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, ০৭ জুলাই ২০১৭
এমআরপি