এমনটি মনে করেন লিভারপুলের বর্তমান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। সম্প্রতি পাঁচ বছরের চুক্তিতে মেসিদের ছেড়ে পিএসজিতে সই করেছেন নেইমার।
পিএসজিতে বছরে ৩০ মিলিয়ন ইউরো পারিশ্রমিক পাবেন নেইমার। যা মেসি ও রোনালদোর চেয়েও বেশি। দাবি ওঠে, লোভনীয় প্রস্তাবে অনুপ্রাণিত হয়েই বার্সা ছেড়েছেন পেলের উত্তরসূরি। এদিকে, গ্রীষ্মকালীন দলবদলে এখন পর্যন্ত জেরার্ড দেউলোফিউ এবং নেলসন সেমেদোকে কিনেছে বার্সা। এই দুই খেলোয়াড়ের বাইরে নতুন কোনো সদস্য পাচ্ছে না কাতালান ক্লাবটি। মার্কো ভেরাত্তি, হেক্টর বেল্লেরিন এবং ক্লপের শিষ্য ব্রাজিলের ফিলিপ কৌতনহোকে দলে ভেড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সফলতার মুখ দেখেনি মেসির ক্লাবটি।
২০২১ সাল পর্যন্ত ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। অবশ্য ২০২১-এর পর চুক্তিটা আরও এক বছর বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। নতুন চুক্তিতে মেসির বেতন হবে সপ্তাহে ৫ লাখ পাউন্ড, আগের চুক্তিতে যা ছিল সপ্তাহে ৩ লাখ ৬৫ হাজার পাউন্ড। বেড়েছে ‘রিলিজ ক্লজ’ও। আগের চুক্তিতে বার্সার আপত্তি গ্রাহ্য না করেও মেসিকে কিনতে কোনো ক্লাবের খরচ হতো ২৫০ মিলিয়ন ইউরো, নতুন চুক্তিতে অঙ্কটা বেড়েছে আরও ৫০ মিলিয়ন। অর্থাৎ মেসির বাই-আউট ক্লজ ৩০০ মিলিয়ন। কিন্তু এই আকাশচুম্বী দাম নির্ভার করতে পারবে বার্সাকে? লিভারপুল কোচ ক্লপ মনে করেন, নেইমারের দলবদলের পর ৩০০ মিলিয়নে মেসিকে কিনে নেওয়া এখন ‘খুবই সম্ভব’।
ক্লপ জানিয়েছেন, ‘মেসিকে এই দামে নেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এত দিন পর্যন্ত এটা ছিল অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই এটা আর অসম্ভব মনে হচ্ছে না। মেসিকে পেতে ৩০০ মিলিয়ন কে খরচ করবে-এমনটা ভাবা হলেও নেইমারের দলবদল সব গল্প পাল্টে দিয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ১১ আগস্ট ২০১৭
এমআরপি