১০ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের পর্দা উঠলেও পরদিন মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া।
এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে থাইল্যান্ডের বিমান ধরে বাংলাদেশ দল। নিরাপদেই সেখানে পৌঁছে টাইগ্রেসরা। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) হালকা অনুশীলন করেছে কৃষ্ণা-সানজিদা-তহুরা-মারজিয়া-মৌসুমী-স্বপ্নারা। তবে, রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজেদের সেরাটা দিতে কঠোর পরিশ্রম করেছে মেয়েরা। তাদের নিয়ে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় পুরো জাতি।
বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক কৃষ্ণা রাণী সরকার ভালো খেলা উপহার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। জানিয়েছেন ভয়কে জয় করার কথা। বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানিয়েছেন, ‘এটা বড় ইভেন্ট, তাই এটা আমাদের জন্য উত্তেজনাকর মুহূর্ত। মেয়েরা গত এক বছর কঠোর অনুশীলন করেছে। এক সঙ্গে শারীরিক-মানসিক-টেকনিক্যালি এবং ট্যাকটিক্যালিও বেড়ে উঠেছে। তারা মানসিকভাবে তৈরি এবং আমার বিশ্বাস তারা একটা দল হয়ে সেরাটা দিয়েই খেলবে। ’
ছোটন আরও যোগ করেন, ‘এর আগে বড় দেশগুলোর বিপক্ষে আমরা দারুণ খেলেছি। সেটা আমার মেয়েদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আসলে কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে খেলতে হবে সেটা মেয়েরা জানে। উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে আমার মেয়েরা। ’
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের গ্রুপে (বি) রয়েছে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার-আপ জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দল। কোরিয়া ও জাপান চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ হিসেবে এই টুর্নামেন্টে সরাসরি খেলছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো বাছাইপর্ব পেরিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ যেমন ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে এসেছে। তেমনি অস্ট্রেলিয়া ‘ডি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে। শক্তিমত্তায় বাংলাদেশের চেয়ে বাকি তিন দলই বেশ এগিয়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর রানার-আপ জাপানের মুখোমুখি হবে স্বপ্নারা। ১৭ সেপ্টেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই গ্রুপের শীর্ষ চারটি দল সেমিফাইনালে উঠবে। সেখান থেকে সেরা দুটি দল ফাইনাল খেলবে। চ্যাম্পিয়ন, রানার-আপ ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারী দল অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।
বাংলাদেশ দল:
গোলরক্ষক: মাহমুদা আক্তার, রোকসানা বেগম ও রূপা আক্তার।
রক্ষণভাগ: মাসুরা পারভীন, নারগিস খাতুন, শামসুন্নাহার, শিউলি আজিম, নিলুফা ইয়াসমিন নিলা, আনাই মগিনি ও নাজমা।
মাঝমাঠ: মিশরাত জাহান মৌসুমী, মারজিয়া, সানজিদা আক্তার, মনিকা চাকমা, ইসরাত জাহান রত্না, তহুরা খাতুন, আখি খাতুন, রাজিয়া খাতুন ও মারিয়া মান্ডা (সহ-অধিনায়ক)।
আক্রমণভাগ: কৃষ্ণা রানী সরকার (অধিনায়ক), আনুচিং মগিনি, সিরাত জাহান স্বপ্না ও সুলতানা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি