নতুন আদেশ জারির ফলে এখন থেকে নারীরা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। রক্ষণশীল সৌদি আরবের নারীরা এবার দীর্ঘদিন নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে বেরিয়ে এলেন।
হিউম্যান রাইটস কমিশনের সভাপতি বন্দর বিন মোহাম্মদ আল আইবান (Bandar bin Mohammed Al-Aiban) এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, সাধারণ নাগরিকদের প্রতি বাদশাহ সালমানের ভালোবাসার নিদর্শন এটি। সৌদি আরবের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীরা সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের অংশীদারিত্বের মূল্যায়ন অত্যন্ত ইতিবাচক।
আগেও নারীদের স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি ছিল। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফুটবল ম্যাচ দেখার জন্য নারীদের তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মাঠে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়। এবার সৌদির জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো কয়েকশ নারী একটি স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তারা কনসার্ট, লোকনৃত্য এবং আতশবাজিও উপভোগ করেছেন।
গত পাঁচ বছরে সৌদি আরবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে অনেক নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাদশাহ আবদুল্লাহ ২০১১ সালে নারীদের শূরা কাউন্সিলে যোগদানের অধিকার দেন। এছাড়া পৌর নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার দেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকে নারীরা সেখানে ভোট দিতে পারছেন। ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো শূরা কাউন্সিলে নারীদের নিযুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি