ফুটবললিকসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহের বেতন ধরলে এক নম্বরে তেভেজ, দুই নম্বরে নেইমার আর তিন নম্বরে মেসি। চার নম্বরে চীনের আরেক ক্লাব সাংহাই এসআইপিজিতে খেলা ব্রাজিলের তারকা অস্কার।
রিয়ালের প্রাণভোমরা রোনালদো ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান বেতন বাড়ানোর। এর আগেও মৌসুমের শুরুতে বেতন বাড়ানোর কথা বলেছিলেন রোনালদো। সেবার কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, স্পেনের কর মাত্রাতিরিক্ত। তাই দল বদলের গুঞ্জনও উঠেছিল।
স্প্যানিশ জায়ান্টরা রোনালদোর এবারের দাবিও মানতে রাজি হয়নি। কারণটাও স্বাভাবিক। গত নভেম্বরেই চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে রোনালদোর। ২০২১ সাল পর্যন্ত রিয়ালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। এক বছর না যেতেই চুক্তি নবায়ন করতে চাইছে না তার ক্লাব। নতুন চুক্তি অনুযায়ী কর বাদে বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাওয়ার কথা মেসির। আর বর্তমানে রোনালদো পান ২০ মিলিয়ন ইউরো।
তেভেজ প্রতি সপ্তাহে বেতন হিসেবে পাচ্ছেন ৬ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড। যেখানে বার্সা ছেড়ে পিএসজির প্রাণভোমরায় পরিণত হওয়া নেইমার পাচ্ছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড। আর মেসির ৫ লাখ পাউন্ড। চারে থাকা অস্কারের বেতন প্রতি সপ্তাহে ৪ লাখ। পাঁচ নম্বরে থাকা রোনালদো পান প্রতি সপ্তাহে ৩ লাখ ৬৫ হাজার পাউন্ড। এটা শুধু ক্লাব থেকেই পান তারা। তবে, সেটা নিয়েও বিরোধ আছে। কথিত আছে আর্জেন্টাইন তারকা এজিকুয়েল লাভেজ্জি চীনের ক্লাব হেবেই চায়না ফরচুনা থেকে প্রতি সপ্তাহে বেতন নেন ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ পাউন্ড।
ফুটবললিকসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তেভেজ-নেইমার দু’জনই তালিকায় এক ধাপ করে নিচে নেমে যেতে পারেন। বার্সায় মেসির নতুন চুক্তি হতে পারে বার্ষিক ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড। সেক্ষেত্রে তেভেজকে টপকে মেসিই হবেন সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া ফুটবলার। বর্তমানে তেভেজ বার্ষিক ৩৪ মিলিয়ন পাউন্ড পাচ্ছেন। আর নেইমারের চুক্তিতে আছে ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড।
অনেকেই মনে করছেন মেসি-নেইমারের সমান বা বেশি বেতন পাওয়ার যোগ্য রোনালদো। গেল মৌসুমে তার হাত ধরেই ১২তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছে রিয়াল। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসি-নেইমারের সঙ্গে আছেন রোনালদোও। পঞ্চমবারের মতো বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার তার হাতে উঠতেও পারে। তাতে বেতন বাড়ানোর দাবি করাটা রোনালদোর জন্য আহামরি কোনো বিষয় নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি