বিশ্ব দরবারে কাতালোনিয়ার অবস্থা এবং দুর্দশার কথা তুলে ধরতে চেয়েছে বার্সা। কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছেন বার্তোমেউ।
প্রথমে ম্যাচ হওয়া নিয়েই একটা শঙ্কা জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত নিরুত্তাপ গ্যালারির সামনে নব্বই মিনিট পার করে দু’দল। এক সাক্ষাৎকারে বার্তোমেউ বলেন, ‘যা ঘটছে তাতে আমরা খুবই দুঃক্ষিত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ঘাটতিতে আমরা উদ্বিগ্ন, এটা অনেক বেশি হতাশ করেছে। কিন্তু ম্যাচ স্থগিত রাখার জায়গায় ব্যতিক্রমী উপায়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনো সমর্থকদের ছাড়াই। সবার প্রতি আমাদের সমর্থন জানাতে চেয়েছি। ’
‘নিরাপত্তা নিশ্চিত ছিল। স্থানীয় পুলিশ তা জানিয়েছে। আমরা লা লিগা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ম্যাচটি স্থগিত রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যখন তারা ‘না’ বলেছিল আমরা সাপোর্টারদের ছাড়াই খেলার সিদ্ধান্ত নিই যাতে করে গোটা বিশ্ব কাতালোনিয়ার বর্তমান অবস্থা এবং আমরা কীভাবে এর ভুক্তভোগী হচ্ছি তা দেখতে পারে। ’-যোগ করেন বার্তোমেউ।
বার্তোমেউ আরও ব্যাখ্যা করেন, প্রথমে ম্যাচ আয়োজন করতে চায়নি বার্সা। কিন্তু লা লিগার পক্ষ থেকে বলা হয় যদি তারা না খেলে তবে পূর্ণ তিন পয়েন্ট কেটে রাখা হবে এবং ম্যাচ খেলতে বাধ্য করা হয়। অন্যদিকে, পুরো গ্যালারি ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বার্সা বোর্ড। গণভোটের পক্ষে রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা এতে প্রভাবিত করেনি বলে জোর গলায় বলছেন বার্সা প্রেসিডেন্ট।
অর্থাৎ নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ নয়, স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়াকে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবির পক্ষে সংহতি প্রকাশ ও বিশ্ববাসীকে সেই অবস্থান দেখানোর জন্যই ক্যাম্প ন্যু দর্শকশূন্য রাখে বার্সা।
সমর্থকদের অনুপস্থিতিতে লিওনেল মেসির জোড়া গোলে পালমাসকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্নেস্টো ভালভার্ডের শিষ্যরা। লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে টানা সাত ম্যাচ জিতে উড়ছে কাতালানরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ২ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম