২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি ৩৭ বছর বয়সী রোনালদিনহো। ২০১৮ সালে যে অবসরের ঘোষণা দেবেন তা গত মাসেই প্রকাশ করেছিলেন দু’বারের ফিফা বর্ষসেরা, ‘আমি মনে করি আগামী বছর (২০১৮) অফিসিয়ালি বিদায় বলবো।
খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টেনে সঙ্গীত ও ফুটবল স্কুল নিয়ে কাজ করতে চান এই আইকনিক খেলোয়াড়। এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ফুটবল থেকে অবসরের পর আমি আমার মিউজিক্যাল প্রজেক্ট, আমার ফুটবল স্কুল নিয়ে সামনে এগোবো। এটা আমার কাছে নতুন কিছু, এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। ’
বিশ্ব ফুটবলে রোনালদিনহোর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। সোনালী সময়টায় অবিশ্বাস্য সব ফুটবলশৈলীতে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন সবাইকে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অর্জনের শেষ নেই। ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপ, ২০০৫ ব্যালন ডি’অর, বার্সেলোনার জার্সিতে ২০০৫-০৬ চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি উল্লেখযোগ্য।
অবসর পরবর্তী বেশ কয়েকটি বিদায়ী ম্যাচের সম্মানে ভূষিত হবেন সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। এক সাক্ষাৎকারে আসিস বলেন, ‘সে ফুটবল ছেড়ে দিয়েছে, এটা শেষ। এখন তার জন্য দারুণ কিছু করতে হবে। বিদায়ী ম্যাচের উপলক্ষ বড় হওয়া উচিৎ। যেটি হতে পারে রাশিয়া ওয়ার্ল্ডকাপের পর, সম্ভবত আগস্টে। ’
‘আমরা ব্রাজিল, ইউরোপ ও এশিয়ায় কিছু ইভেন্ট করবো। অবশ্যই ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল টিমকে নিয়েও আয়োজন থাকবে। এই প্রজেক্টে নাইকি (রোনালদিনহোর দীর্ঘদিনে স্পন্সর) থাকবে আমাদের সঙ্গে, এখনো বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। ’
রবার্তো আসিস আরও বলেন, ‘এখনকার জন্য আমরা একটি প্রোগ্রাম আয়োজন করবো। বস্তুত সে ১০ বছর ধরে বার্সেলোনার শুভেচ্ছাদূত। বিদেশের মাটিতে অনেক সাহায্য করতে পারবে। সেখানে তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দেখানো হয়। এখন তিনটি ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। ১ মার্চ মেক্সিকোতে হবে পরবর্তীটা। ’
ব্রাজিলের জার্সিতে ৯৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন নিজের প্রজন্মের ফুটবল জাদুকর রোনালদিনহো। সতীর্থদের দিয়ে প্রচুর গোল করানোর পাশাপাশি নিজে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন ৩৩ বার। ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ে দু’টি গোলের উৎসমূলে ছিলেন।
১৯৯৮ সালে শৈশবের ক্লাব গ্রেমিওর হয়ে পেশাদার ক্লাব ফুটবলে পা রাখেন সে সময়কার বিস্ময়বালক রোনালদিনহো। তিন বছর পর পিএসজিতে (২০০১-০৩) যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইউরোপিয়ান ক্যারিয়ার। বিশ্বকাপ জয়ের পর প্যারিস থেকে পাড়ি জমান বার্সেলোনায়। ন্যু ক্যাম্পে পাঁচ বছরে নিজেকে নিয়ে যান সাফল্যের নতুন চূড়ায়। বার্সা অধ্যায়ের পর এসি মিলান হয়ে ফ্ল্যামেঙ্গো, অ্যাতলেতিকো মিনেইরো, কুয়েরেতারো (মেক্সিকো) থেকে ফ্লুমিনেন্সে এসে সমাপ্তি টানেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম