খেলোয়াড়দের সঙ্গে নতুন চুক্তি করে আকাশছোঁয়া রিলিজ ক্লজ বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনায় হাঁটছে বার্সা। দলবদলের বাজারে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতেই এই ব্যবস্থা।
নেইমারের ২২২ মিলিয়ন ইউরোও নিরাপদ ছিল না। তাই অঙ্কটা দ্বিগুণেরও বেশি হারে বাড়িয়ে দিচ্ছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। গত বছরের আগস্টে ট্রান্সফার ফি’র বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ন্যু ক্যাম্প থেকে নেইমারকে ভাগিয়ে নিয়ে যায় পিএসজি। বার্সা অধ্যায়ের (২০১৩-১৭) ইতি টেনে প্যারিসে পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন।
সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েছে বার্সা। রিলিজ ক্লজ দৃশ্যত বড় মনে হলেও যে তা আর নিরাপদ নয় তা হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে কাতালানরা। লিওনেল মেসির নতুন চুক্তিতে রিলিজ ক্লাব ৩০০ মিলিয়ন ইউরো থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো (৭০ কোটি ইউরো)। টাকার অঙ্কে ৭ হাজার ১২১ কোটির বেশি।
আক্রমণভাগের আরেক তারকা লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে করা নতুন চুক্তিতে রিলিজ ক্লজ রাখা হয়েছে ২০০ মিলিয়ন ইউরো। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ফের নতুন চুক্তিতে সই করতেই পারেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার রিলিজ ক্লজ যে কম হয়ে গেল।
সামার সাইনিং ওসমান ডেম্বেলে ও চলতি মাসে লিভারপুল থেকে বহুল প্রতিক্ষার ফিলিপ্পে কুতিনহোর চুক্তিপত্রে রিলিজ ক্লজ লেখা হয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো। বোঝাই যাচ্ছে, নেইমারকে হারানোর পর থেকে কতটা সতর্ক বার্সা বোর্ড।
পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ জেরার্ড পিকে ও সার্জি রবার্তো সেটিও ছাড়িয়ে গেছেন। পিকের সঙ্গে দু’দিন আগেই ২০২২ সাল পর্যন্ত চুক্তি সম্পন্ন করেছে বার্সা। রিলিজ ক্লজ বেশি না। তাকে পেতে হলে মাত্র ৫০০ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করলেই চলবে! সবশেষ রবার্তোর নামের পাশেও ঝুলছে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর বাইআউট ক্লজ।
যাই হোক, সবকিছুর সমাধান হয়নি এখনো। বার্সার উদ্বেগের কারণ এখন স্যামুয়েল উমতিতি। দু’বছর আগে যোগ দেওয়ার পর চোখে পড়ার মতো উন্নতি করেছেন উদীয়মান এই ফ্রেঞ্চ সেন্টারব্যাক। ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের নজরে আছেন তিনি। সম্প্রতি ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকের জন্য ৮০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতেও দ্বিধা করেনি লিভারপুল। সেখানে উমতিতির ৬০ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ কতটাই বা নিরাপদ। তাই রক্ষণের ভরসা হয়ে ওঠা এই ডিফেন্ডারের সঙ্গেও বার্সা ক্লাব কর্তৃপক্ষ শিগগিরই নতুন চুক্তি সেরে ফেললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ২০ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম