ঘটনার শুরু ২০১১ সালে। বার্সেলোনার পক্ষে সাবেক সভাপতি সান্দ্রো রোসেল নেইমারদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন।
কিন্তু পরে জানা যায় নেইমারকে কিনতে আসলে ৫৭.১ মিলিয়ন খরচ হয়েছে। এই সত্য জানতে পেরে ব্রাজিলিয়ান বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি অভিযোগ করে দলবদলের আসল অঙ্ক গোপন করে তাদের ঠকানো হয়েছে।
অর্থের হেরফের এখানেও শেষ হয়নি। পরবর্তীতে প্রকাশ হয়, রিয়াল মাদ্রিদ নয়, বার্সেলোনাকেই বেছে নেওয়া নিশ্চিত করতে নেইমার ও তার বাবাকে আরও বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছে রোসেল। যার ফলে নেইমারকে আনতে বার্সেলোনার প্রায় ৮৩.৩ মিলিয়ন ইউরোর মতো খরচ হয়!
আর এই অর্থের পরিমাণ গোপন রাখার ফলে বিশাল অঙ্ক হাতছাড়া হয় সান্তোসেরও। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি নেইমার ও তার বাবার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে। সেই মামলাতেই প্রথমে দুই বছরের শাস্তির কথা উঠলেও তা বেড়ে ছয় বছর হতে যাচ্ছে।
কাতালুনিয়ার দৈনিক লা ভ্যানগার্ডিয়ারের সূত্রে জানা যায়, নেইমারের দলবদলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত একারই নেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় ফৌজদারি আদালতের প্রধান বিচারক জোসে মারিয়া ভাসকেজ হনরুবিয়ার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভাসকেজ বিষয়টি জাতীয় আদালতের ফৌজদারি বিভাগে পাঠিয়ে দেন। সেখানে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট নেইমারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
নেইমার, তার বাবা ও রোসেলের মধ্যকার সব তথ্য বিবেচনা করে বিচারক ভাসকেজের মনে হয়, নেইমারের ছয় বছরের জেল হওয়া উচিৎ। আর ব্রাজিলের নিয়ম অনুযায়ী, একজনের আদালতে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া যায়। তাই তিনি ফৌজদারি আদালতে পাঠিয়ে দেন মামলাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস