২০১৬ সালে ম্যানইউ’র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার দিন পর্যন্ত শহরের দ্য লৌরি হোটেলে থেকেছেন হোসে মরিনহো। দলের পারফরম্যান্স যেমনই হোক, পাঁচ তারকা হোটেলটির প্রিমিয়াম রিভারসাইড সুইটে থেকেছেন ফুটবল জগতে ‘ক্ষ্যাপাটে’ হিসেবে পরিচিত মরিনহো।
মরিনহোর হোটেল রুমে ছিলো বৃহদাকার শোয়ার ঘর, পৃথক লাউঞ্জ, ডাইনিং রুম এবং ছোট রান্নাঘর। হোটেলটিতে মরিনহো ঠিক কতো অর্থ ব্যয় করেছেন সে বিষয়ে দ্য লৌরি কোনো মন্তব্য না করলেও ওয়েবসাইট থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন হিসেব কষেছে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
হোটেলটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিলাসবহুল এই সুইটের এক রাতের ভাড়া ৭৫৮ মার্কিন ডলার। সেই হিসেবে ৮৯৫ রাতে মরিনহোর খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৭৯ হাজার মার্কিন ডলার। তবে হোটেলটিতে থাকা ছোট বার-এ মরিনহো কোন খরচ করে থাকলে সেই অংকও যোগ হবে এই হিসেবে। তাতে অংকটা আরো বাড়বে।
সিএনএন এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোটেলে রাত্রিযাপনে ব্যয় করা অর্থ দিয়ে শহরটিতে কোন বাংলো বা ফ্ল্যাট অনায়াসেই কিনতে পারতেন ৫৫ বছর এই পর্তুগীজ। তবে হোটেলটিতে থাকার সময় বেশ ‘আরামেই’ ছিলেন বলে গত মে মাসে জানিয়েছিলেন মরিনহো। আর মরিনহোকে হারিয়ে ক্লাব ফুটবলাররা ব্যথিত না হলেও ‘মর্মাহত’ হয়েছেন হোটেলটির কর্মীরা। ‘অশ্রুসজল’ চোখে হোটেল কর্মীদের মরিনহোকে বিদায় জানাতে দেখা যায়।
প্রিমিয়ার লীগসহ সাম্প্রতিক সময়ে দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচিত হয়ে আসছিলেন হোসে মরিনহো। সর্বশেষ লীগের শীর্ষদল লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে ১৯ পয়েন্ট পিছিয়ে ম্যানইউ ছিটকে পরে শেষ চার থেকে। আর তারপরই হোসে মরিনহোকে বহিষ্কার করে ইংলিশ ফুটবলের এই জায়ান্ট দল।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
এসএইচএস/জেডএস