রিয়ালে পা দিলে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারবেন ১৯ বছর বয়সী দিয়াজ। প্রথমত এর মাধ্যমে নিজের পরিবারের কাছে থাকতে পারেবন আর দ্বিতীয়ত নিজ শহরের ক্লাব মালাগা ছাড়ার পাঁচ বছর পর স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ।
রিয়ালের সঙ্গে দিয়াজের চুক্তিটা হচ্ছে ১৫ মিলিয়ন ইউরোর। তাকে আগামী ৬ মৌসুমের জন্য দলে ভেড়াচ্ছে লস ব্লাঙ্কোসরা। চুক্তির বাইরেও প্রতি মৌসুমে বাড়তি ৩.৫ মিলিয়ন ইউরো আয় করবেন তিনি।
আগামী সপ্তাহেই দিয়াজকে সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে রিয়াল। এর মাধ্যমে জানুয়ারিতে দলে নতুন খেলোয়াড় না নেওয়ার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল রিয়ালে তার সমাপ্তি ঘটতে চলেছে। সর্বশেষ ২০১৪/১৫ মৌসুমে লুকাস সিলভাকে জানুয়ারির দলবদলের বাজারে দলে ভিড়িয়েছিল রিয়াল।
দিয়াজকে দলে নেওয়ার পেছনে রিয়ালের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জড়িত। কারণ, তার বয়স এখনো অনেক কম, তার জন্ম স্পেনে আর তার নিজের জোর ইচ্ছে ছিল রিয়ালে খেলার। এমন একজন খেলোয়াড়কে না নেওয়াটা তাদের জন্য বোকামিই হতো।
চলতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি মিডফিল্ডার দিয়াজ। বিষয়টা সিটি বস পেপ গার্দিওলার গোচরে আসতেই রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি করার সব ব্যবস্থা পাকা করেন। তাকে বিনামূল্যে হাতছাড়া করার চেয়ে তাকে বিক্রি করে কিছু আয়ও করে নিতে চান এই স্প্যানিশ কোচ।
চলতি মৌসুমে সিটির হয়ে মাত্র ৪ ম্যাচ খেলেছেন দিয়াজ। এর মধ্যে সর্বশেষ লেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচটিও রয়েছে। দলে কেভিন দে ব্রুইনে, দাভিদ সিলভা, বার্নান্দো সিলভা, লেরয় সানে, রিয়াদ মাহারেজ আর রাহিম স্টার্লিং মিলিয়ে মিডফিল্ড পজিশনে তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে। ফলে দিয়াজের অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেছে।
এদিকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে কোন পজিশনে খেলবেন দিয়াজ তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। দলে মার্কো অ্যাসেনসিও, ভিনিসিয়াস জুনিয়র আছেন। এরপর আবার রদ্রিগোকে নেওয়া হয়েছে। ফলে এখানেও সেরা একাদশে সুযোগ পাওয়া দিয়াজের জন্য সহজ হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
এমএইচএম