আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম ‘লা ন্যাসিওন’র এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল বরাবর পাঠানো এক চিঠি পাঠিয়েছে এএফএ। চিঠির মাধ্যমে মেসিকে লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে আপিল করা হয়েছে।
এছাড়া এএফএ’র পক্ষ থেকে কনমেবলকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন মেসির নিষেধাজ্ঞা এক ম্যাচেই সীমাবদ্ধ করা হয়। অর্থাৎ, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর লস অ্যাঞ্জেলসে চিলির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ পর্যন্ত। তবে আর্জেন্টিনার ভয়, মেসির শাস্তি হয়তো আরও কঠোর হতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে মেসিকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হতে পারে। আর এমনটা হলে ২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশ নিতে পারবেন না মেসি। এই খবর বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পাওয়া আলবিসেলেস্তেদের কোচ লিওনেল স্কালোনির জন্য মোটেই স্বস্তির নয়।
কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির গ্যারি মেদালের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে ‘বিতর্কিত লাল’ কার্ড দেখেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। তাতেই সব ক্ষোভ উগরে দেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। এমনকি ম্যাচ শেষে পুরস্কার নিতেও যাননি তিনি।
দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশনকে (কনমেবল) ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ দাবি করেন মেসি। এছাড়া রেফারি পক্ষপাতিত্ব করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। স্বাগতিক ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য আর্জেন্টিনাকে টুর্নামেন্ট থেকে অনৈতিকভাবে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন দাবিও করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। চিলির বিপক্ষে ম্যাচের পর মেসি রুঢ়ভাবে বলেন, ‘এই দুর্নীতিতে আমাদের সামিল হওয়া উচিৎ নয়। ’
কিন্তু মেসির এমন মন্তব্য মেনে নিতে পারেনি কনমেবল। মেসির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে আর্ন্তজাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে জানায়। যদিও সেই শাস্তির ঘোষণা এখনও আসেনি।
এদিকে শাস্তি ঘোষণার আগেই আর্জেন্টিনার ক্রীড়া আদালতের সদস্য আব্রুউ দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে প্রস্তাব দিয়েছিল মেসির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। যাতে মেসি ক্ষমা চায় কনমেবলের কাছে। কিন্তু মেসি ক্ষমা চাওয়ার বদলে লাল কার্ড তুলে নিতে আপিল করলেন। আর তাতে সঙ্গ দিল এএফএ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস