রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে ইসরায়েলের সঙ্গে একটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলতে জেরুজালেমে যাওয়ার কথা ছিল মেসিদের। ইসরাইলি রাষ্ট্রের ৭০ বছর পূর্তির অংশ হিসেবে এই ম্যাচটি আয়োজন করতে চেয়েছিল দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
ইসরায়েলের দখলে থাকা জেরুজালেম শহরের টেডি স্টেডিয়ামে (বলা হয় জায়গাটি ১৯৪৮ সালে ধ্বংস হওয়ার আগে ফিলিস্তিনি গ্রাম ছিল) ম্যাচটি আয়োজনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সেসময় ফিলিস্তিন এফএ’র প্রধান রাজৌব বলেন, ‘মেসি আমাদের কথা না শুনলে সমর্থকদের বলব মেসির ছবি ও জার্সি পুড়িয়ে দিতে এবং মেসিকে বর্জন করতে। ’
বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনা ও ফিলিস্তিনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাচটি বাতিল করা হয়। তবে ইসরায়েলের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফিফা’র কাছে রাজৌবের বিরুদ্ধে নালিশ করে। আর তাতেই আসে ওই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত।
নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে গত বছরের সেপ্টেম্বরেও আপিল করেছিলেন রাজৌব। তখনও তার আপিল খারিজ করে দিয়েছিল ফিফা’র কোর্ট অব অ্যাট্রিবিউশন ফর স্পোর্ট (সিএএস)। এর মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফুটবল খেলাকে ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ বানানোর যে অভিযোগ করে আসছিলেন রাজৌব, সেটাও জোর ধাক্কা খেলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এমএইচএম