পেশাদারি ফুটবলে যুব দলের পর ২০১০ সালে দেশের ক্লাব এল মোকাওয়ালুনে অভিষেক হয় সালাহর। তবে দু’বছর পর ২০১২ সালে ইউরোপে পাড়ি দেন তিনি।
কিন্তু বাসেলে প্রথম দিনের অনুশীলন সহজ ছিল না সালাহর জন্য। যদিও সেখানেই কিছুদিন যেত না যেতে ‘ঘাতক’ হিসেবে প্রমাণিত হন তিনি। এমনটিই জানিয়েছেন বাসেলের তখনকার কোচ হেইকো ভোগেল।
সালাহকে এক সপ্তাহ’র ট্রায়ালে পাঠান ভোগেল। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী শুরুটা করতে পারেননি এই তারকা। বর্তমানে জার্মান তৃতীয় বিভাগের ক্লাব কেএফসি ইউয়েরডিজেনের কোচ ভোগেল ভেবেছিলেন, সালাহর কোনো জমজ ভাইকে চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন। যে কিনা বাজে পারফরম্যান্সের ফুটবলার।
এক সাক্ষাৎকারে ভোগেল বলেন, ‘আমি তাকে বলেছিলাম, শোনো তুমি তোমার মতো করে অনুশীলন করো। আমরা যেভাবেই হোক আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। ’
৪৩ বছর বয়সী এই কোচ আরও বলেন, ‘পরে সে প্রথম দিনের অনুশীলন করলো। সবাই দেখলো ও ভাবতে লাগলো, আমরা কি তার জমজ ভাইকে দলে নিয়েছি! দ্বিতীয় দিন কিছুটা ভালো ছিল, তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী না। এরপরেই এলো তৃতীয় দিন, এটা সেই দিন যেদিন সে সবকিছু ধ্বংস করে দিল। তাকে থামানো ছিল অসম্ভব। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা ছিল সত্যিই অসাধারণ। সে ছিল বেশ চটপটে ও এক কথায় বিস্ফোরক। তার পায়ে বল গেলেই সেটা গোলে পরিণত হতো। এরপরেই সবাই বুঝতে পারল আমরা কেন তাকে দলে নিয়েছি। ’
লিভারপুলের হয়ে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০৯ ম্যাচে ৭৪টি গোল করেছেন সালাহ। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টানা দুই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছে অল রেডসরা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে তো শিরোপাই ঘরে তোলে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এমএমএস