ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

পরের মৌসুমে নেইমারকে ‘মুক্ত’ করবে ফিফা!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯
পরের মৌসুমে নেইমারকে ‘মুক্ত’ করবে ফিফা! নেইমার জুনিয়র-ছবি: সংগৃহীত

এবারের মতো ইউরোপের দলবদলের বাজার বন্ধ হয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত অসংখ্য নেইমারভক্ত অপেক্ষায় ছিলেন সুসংবাদের। এমনকি নেইমার নিজেও গাঁটের অর্থ খরচ করে হলেও বার্সায় ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না।

তবে নেইমারভক্তদের জন্য একটা ভালো সংবাদ আছে, এবার না হলেও পরেরবার তিনি বার্সায় ফিরতে পারবেন। আর তাকে সহায়তা করবে খোদ ফিফা।

২০১৭ সালে ট্রান্সফার ফি’র বিশ্বরেকর্ড গড়ে পিএসজিতে পাড়ি দিলেও দুই মৌসুম পরেই সাধ মিটে গেছে নেইমারের। একের পর এক ইনজুরি তার ক্যারিয়ারে বাঁধ সেধেছে। এর জেরে দলে নিয়মিত পারফর্ম করতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এছাড়া মাঠের বাইরের কিছু বিতর্কিত বিষয় তো আছেই।

বর্তমান ক্লাবে মন বসাতে না পেরে নেইমার এই মৌসুমে নিজের সাবেক ক্লাব বার্সায় ফিরতে মরিয়ে চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে ফিরিয়ে নিতে টানা চারটি প্রস্তাব দিয়েও পিএসজি’র কাতারি মালিকের মন গলাতে পারেনি বার্সা। সর্বশেষ নেইমারের বিনিময়ে ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর সঙ্গে উসমানে দেম্বেলে ও ইভান রাকিতিচকে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বার্সা। কিন্তু প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেয় পিএসজি।

তবে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও পিএসজির পক্ষ থেকেই নতুন প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। নতুন প্রস্তাবে নেইমারের বিনিময়ে ১৩০ মিলিয়ন ইউরো (মতান্তরে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো) ও তিন খেলোয়াড়কে চায় পিএসজি। মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ, ডিফেন্ডার জাঁ-ক্লেয়ার তোদিবোকে স্থায়ীভাবে আর ফরোয়ার্ড উসমানে দেম্বেলেকে ধারে পেতে চেয়েছিল ফরাসি জায়ান্টরা। কিন্তু দেম্বেলে কিছুতেই নেইমার ‘ডিল’র অংশ হতে রাজি হননি।

নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত নেইমার শেষে পুরনো ঠিকানা বার্সেলোনায় ফেরার জন্য এমনকি নিজের পকেট থেকে ২০ মিলিয়ন ইউরো দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে কেনার মতো যথেষ্ট অর্থ এই মুহূর্তে বার্সার হাতে নেই। ফলে নেইমারের দলবদল অধ্যায়ের আপাত সমাপ্তি ঘটেছে। তবে নাটকের কিন্তু এখানেই শেষ নয়। পরের মৌসুমে নেইমারকে ‘মুক্ত’ করতে দৃশ্যপটে হাজির হবে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’র রক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে ফের বার্সায় ফেরার চেষ্টা চালাবেন নেইমার এবং ওই সময় তার পাশে থাকবে ফিফা। কারণ, আর ১২ মাস পরেই নেইমারের ট্রান্সফার ফি ঠিক করে দেওয়ার অধিকার থাকবে ফিফা’র হাতে। তবে এজন্য তাকে ‘প্রোটেকশন পিরিয়ড’ পার হতে হবে।

ফিফা’র এই নিয়ম যেসব খেলোয়াড়ের ‘বাইআউট ক্লজ’ নেই তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে এজন্য ওই খেলোয়াড়কে একটি ক্লাবে কমপক্ষে তিনটি পূর্ণ মৌসুম কিংবা ৩ বছর খেলতে হবে। এরপর নতুন চুক্তি স্বাক্ষর না করেই যদি সেই খেলোয়াড় আগের চুক্তি অনুযায়ী খেলা চালিয়ে যান, তাহলে তিনি ক্লাব ছাড়তে পারবেন আর তাতে সহায়তা করবে ফিফা। যদিও এজন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

ফিফা’র সঙ্গে এরইমধ্যে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন নেইমারের আইনজীবীরা। সেই আলোচনা থেকেই জানা গেছে, আগামী বছর ১৭০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়েই ‘মুক্ত’ হতে পারবেন নেইমার। এটা বেশ অবাক করার মতোই বিষয়, কারণ এবার তাকে কিনতে আগ্রহী বার্সার কাছে এর চেয়ে ঢের বেশি অর্থ দাবি করেছিল পিএসজি। কিন্তু মাত্র ১২ মাস পর, তাদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হবে এবং তাদের বদলে নেইমারের ট্রান্সফার ফি’র অঙ্ক ঠিক করবে ফিফা।

আপাতত দলবদল নাটক শেষ হওয়ায় আগামী ৭ ও ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় দলের জার্সিতে কলম্বিয়া ও পেরুর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে দেখা যাবে নেইমারকে। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে লিগ ওয়ানের ম্যাচেই টমাস টুখেলের একাদশে দেখা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।