১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া ম্যারাডোনা ২০১০ সালে জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়ার পর এই প্রথম নিজ দেশে কোচিং করানোর দায়িত্ব পান। দায়িত্ব ছাড়ার দুদিন পর আবারও ক্লাবটির কোচ পদে ফেরার কথা জানালেন তিনি।
ম্যারাডোনা দায়িত্ব নেওয়ার আগে চলতি মৌসুমের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছিল জিমন্যাসিয়া। টেবিলের তলানিতে থাকা দলটি ম্যারাডোনার অধীনে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল। বিশ্বকাপ জয়ী তারকার অধীনে আট ম্যাচের তিনটিতে জয় পেয়ে টেবিলের ২২ নম্বরে উঠে আসে তারা।
ক্লাব প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল পেলেগ্রিনো নতুন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোতেই আর কোচ থাকতে চাননি ম্যারাডোনা। তবে গত পরশু হাজারো সমর্থক ক্লাব চত্বরে স্লোগান দিতে থাকে গ্যাব্রিয়েলকে ফিরিয়ে আনার। এরপর নিজের ফিরে আসার ঘোষণা দেন ম্যারাডোনা। ইনস্টাগ্রামে বিশ্বকাপ জয়ী তারকা জানান, ‘ম্যানেজার হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করে যাব এটা বলতে পেরে আমি খুব খুশি। ’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী এই কিংবদন্তি আরও লিখেছেন, ‘আবারও দায়িত্বে ফেরায় ভীষণ খুশি আমি। ক্লাবে রাজনৈতিকভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। নেতারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছে, দলের শক্তি বাড়ানোর। ’
২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ ছিলেন ম্যারাডোনা। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি ক্লাবে কোচ হিসেবে কাজ করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। মেক্সিকান দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব দোরাদোসের হয়ে এক বছর কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেখানে ৯ মাস কোচিং করালেও দলটিকে শীর্ষ লিগে তুলতে ব্যর্থ হন তিনি।
পরে কাঁধে ও হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানোর জন্য গত জুনে দলটির দায়িত্ব ছাড়েন ৫৮ বছর বয়সী সাবেক এই ফুটবলার। এবার নিজ দেশের ক্লাব জিমন্যাসিয়ার দায়িত্ব ছাড়ার দুদিন পর আবারও ফিরলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এমআরপি