শুরুতে নেইমারকে ক্যাম্প ন্যুয়ে ফেরার রাস্তাটা মেসিই দেখিয়েছিলেন। কারণ, যে প্রক্রিয়ায় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পিএসজিতে গেছেন তাতে তার প্রতি বার্সা সমর্থক ও মালিকপক্ষের কোনো ভালোবাসা থাকার কথা নয়।
শুরুতে নেইমারকে রাজি করানোটা ছিল মেসির জন্য কঠিন কাজ। এই নেইমারের জন্য তিনি নিজে তো কম করেননি। তার সঙ্গে জুটি বেঁধেই প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট পরার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল নেইমারের। কিন্তু সেই মেসির ছায়া থেকে বের হয়ে নিজে বিশ্বসেরা হওয়া আর কাতারি অর্থের আকর্ষণে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ফি’র বিশ্বরেকর্ড গড়ে পিএসজিতে যান তিনি।
প্রিয় বন্ধু নেইমারকে পিএসজিতে না যাওয়ার ব্যাপারে অনেক বুঝিয়েছিলেন মেসি। এমনকি তাকে ব্যালন ডি’অর জিততেও সহায়তা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নেইমারকে কিছুতেই ফেরানো যায়নি। নতুন করে সেই তাকেই যখন ফেরাতে চাইলেন, ফের উদার হলো মেসির মন। এবার সরাসরি নেইমারকে তিনি জানিয়েই দিয়েছিলেন যে, বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হবেন নেইমার!
‘ফ্রেঞ্চ ফুটবল’র বরাতে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ এমনটাই জানিয়েছে। নেইমারকে নাকি মেসি বলেছিলেন, ‘আমরা দুজনে একসঙ্গে খেললেই কেবল চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারব। দুই বছরের মধ্যে আমি চলে যাব এবং তুমি আমার জায়গা নেবে। ’
শুধু মেসি একা নন, নেইমারকে ফেরাতে উন্মুখ ছিলেন লুইস সুয়ারেসও। তিনজনের সম্মিলিত ফ্রন্টলাইন ‘এমএসএন’ ছিল একসময়ের সবচেয়ে বিধ্বংসী আক্রমণভাগ। ২০১৫ সালে এই ত্রয়ীর অসামান্য পারফরম্যান্সের জোরেই জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বার্লিনে ইউরোপ সেরার উৎসব করে বার্সেলোনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এমএইচএম