এর আগে মেসি ও রোনালদো সমান পাঁচটি করে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন। মেসি ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে ট্রফিটি হাতে তোলেন।
রেকর্ড ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জেতার মধ্যদিয়ে মেসি তার ক্লাব বার্সাকে পাইয়ে দিলেন ১২তম ব্যালন ডি’অর। কাতালান ক্লাবটির ৬ ফুটবলার মিলে ১২টি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। আর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের ৭ ফুটবলার তাদের ক্লাবকে পাইয়ে দিয়েছেন ১১টি ব্যালন ডি’অর। এই তালিকায় তিনে যৌথভাবে জুভেন্টাস আর এসি মিলান। তাদের ৬ জন করে খেলোয়াড় নিজ নিজ ক্লাবে দিয়েছিলেন ৮টি করে ব্যালন ডি’অর।
১৯৫৭ সালে আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর হাত ধরে রিয়াল প্রথমবার কোনো ব্যালন ডি’অর জয়ীকে পেয়েছিল। বার্সাকে অপেক্ষা করতে হয় ১৯৬০ সাল পর্যন্ত। স্প্যানিশ তারকা লুইস সুয়ারেসের হাত ধরে সেবার বার্সা এই ব্যালন ডি’অর জেতে। ১৯৫৮ সালে রিয়ালের রেমন্ড কোপা আর ১৯৫৯ সালে আবারও ডি স্টেফানো এই খেতাব জেতেন।
১৯৭৪ সালে বার্সার হয়ে দ্বিতীয়বার এই পুরস্কার জেতেন ইয়োহান ক্রইফ। ১৯৯৪ সালে বার্সার হয়ে তৃতীয়বার এই খেতাব জেতেন রিস্টো সোইকভ। ১৯৯৯ সালে বার্সার রিভালদো জেতেন ব্যালন ডি’অর। রিয়ালের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় ২০০০ সালে। পর্তুগালের কিংবদন্তি লুইস ফিগোর হাত ধরে সেবার ক্লাবটি ব্যালন ডি’অরের দেখা পায়। এরপর ২০০২ সালে ব্রাজিলের রোনাল্ডো রিয়ালকে এই খেতাবে নাম লেখানোর সুযোগ করে দেন।
২০০৫ সালে বার্সার রোনালদিনহো, ২০০৬ সালে রিয়ালের ফ্যাবিও ক্যানাভারো, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালে বার্সার মেসি, ২০১৩ আর ২০১৪ সালে রিয়ালের রোনালদো, ২০১৫ সালে মেসি, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে রোনালদো, ২০১৮ সালে লুকা মদ্রিচ আর সবশেষ এ বছর মেসির হাতে উঠে ব্যালন ডি’অর শিরোপা।
ব্যালন ডি’অর জয়ীর তালিকায় মেসি একবারই তৃতীয় হয়েছিলেন (২০০৭ সালে)। এ বছর রোনালদো প্রথমবারের মতো তৃতীয় হলেন। মেসির নামের পাশে ছয়টি, রোনালদোর নামের পাশে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর। মেসি পাঁচবার দ্বিতীয় হয়েছিলেন, রোনালদো ছয়বার দ্বিতীয় হয়েছিলেন। মেসির নাম জড়িয়েছে ১২ বার, রোনালদোর নামও সমান জড়িয়েছে ১২ বার।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এমআরপি