ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মেসি চাইলে যুদ্ধে যেতেও রাজি তার আর্জেন্টাইন সতীর্থ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২০
মেসি চাইলে যুদ্ধে যেতেও রাজি তার আর্জেন্টাইন সতীর্থ লিওনেল মেসি/ছবি: সংগৃহীত

লিওনেল মেসির নেতৃত্বে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। অধিনায়ক হিসেবে ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন অসংখ্য শিরোপা।

মাঠে তার সবার সামনে থেকে লড়াই করার সামর্থ্যের কথা কারো অজানা নয়।

কিন্তু ক্লাব পর্যায়ে তাকে এই ভূমিকায় নিয়মিত দেখা গেলেও জাতীয় পর্যায়ে খুব কমই দেখার সুযোগ হয়। ফলে জাতীয় দলের সতীর্থরা তাকে নিয়ে কী ভাবেন তা অনেকটা অজানাই থেকে যায়। তবে এবার জাতীয় দলে তার বর্তমান এক সতীর্থ জানালেন, মেসি এমন এক নেতা যার জন্য তিনি যুদ্ধে যেতেও রাজি।

মেসির সেই সতীর্থের নাম রদ্রিগো দে পল। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের অজানা একটি অধ্যায়ের দিকে আলো ফেলেছেন তিনি। যদিও ফুটবলে অধিনায়কের ভূমিকা তেমন আহামরি নয়। কিন্তু নেতৃত্ব তো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর সেখানে মেসি তার সতীর্থদের কাছে ভিন্ন মর্যাদার আসনে আসীন।

২০১১ সালে আর্জেন্টিনার নেতৃত্বে আসেন মেসি। একই বছর ক্যাম্প ন্যুয়েও অধিনায়কের বাহুবন্ধনী বাঁধেন তিনি।

অন্যদিকে ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে চাপান রদ্রিগো দে পল। ক্লাব পর্যায়ে উদিনেসে খেলা এই ফুটবলার এখন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। ফলে মেসির পাশে খেলার অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেছেন তিনি।

জাতীয় দলের বাকিদের চেয়ে মেসির যে অবস্থান তাতে তার প্রভাব এমনিতেই বেশি থাকার কথা। কিন্তু দে পল জানালেন, ছয়বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী সতীর্থদের সঙ্গে খোলামনে মিশতে পারেন। এজন্যই মেসি একজন আদর্শ অধিনায়ক বলে মত এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের।

‘ফিফাডটকম’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দে পল বলেন, ‘অবশ্যই শুরুতে তার (মেসিকে) দিকে সমীহের দৃষ্টিতে তাকাবেন। কিন্তু যখন আপনি তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করবেন, সে এতটাই আন্তরিক যে আপনি তখন তার বাচ্চাদের সম্পর্কে জানতে চাইতে শুরু করতে পারবেন। কিংবা তাকে কোনো পুরনো স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দিতে পারেন। তার মতো অধিনায়কের জন্য অনায়াসে যুদ্ধে যাওয়া যায়। ’

আর্জেন্টিনা দলে মেসিই যে সবচেয়ে বড় তারকা তাতে সন্দেহ নেই। এতবড় তারকার পাশে বাকিদের ম্লান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু দলে এমন কোনো আবহ থাকে না বলেই জানালেন দে পল, ‘মূল বিষয় হচ্ছে, সবাই জানে তাদের কাজটা কী, কেউ আলোচনায় আসার চেষ্টা করে না। দলে একমাত্র অস্পৃশ্য হচ্ছে মেসি। বাকি আমরা যারা আছি তারা যেভাবে বলা হয় সেভাবেই অবদান রাখার চেষ্টা করি। ’

মেসি সম্পর্কে অজানা আরও একটি তথ্য দিলেন দে পল। জানালেন, আর্জেন্টিনার গুরুত্বপূর্ণ নেতা হওয়া সত্ত্বেও সতীর্থদের সঙ্গে কৌতুক করতে পছন্দ করেন। এমনকি ‘দলের সবচেয়ে বড় জোকার’ দে পলের সঙ্গেও কৌতুকে মাতেন বার্সা ফরোয়ার্ড। দে পল বলেন, ‘(আমাকে দলের বড় জোকার) অনেকেই বলে, কিন্তু মাঝে মাঝে আমি হয়তো একটা আইডিয়া বের করি এবং বাকিরা তাতে যোগ দেয়… তুকু পেরেইরা, লিও পারেদেস… এমনকি মেসি নিজেও যোগ দেয়। ’

অক্টোবরে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুই ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। দুই ম্যাচেই মাঠে নামবেন মেসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২০
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।