ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

খাগড়াছড়িতে ডেঙ্গুর চেয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়া রোগী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
খাগড়াছড়িতে ডেঙ্গুর চেয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়া রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগী।

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে ডেঙ্গুর চেয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এক মাসে খাগড়াছড়িতে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১শ ৩০ জনের বেশি।

জুনের শেষ সময় থেকে জেলা সদর, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা উপজেলা ডেঙ্গুর হটস্পটে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রম না থাকায় এ দশা।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, আক্রান্তদের বেশির ভাগই মাটিরাঙ্গা পৌরসভা এবং গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া এলাকার। ইতোমধ্যে মাটিরাঙ্গা পৌর এলাকাকে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসার পাশাপাশি অনেকে যাচ্ছেন জেলা সদর হাসপাতাল এবং চট্টগ্রামে।  

খাগড়াছড়িতে গেল জুনে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭১ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত ২১ জন। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩২ জনের। তবে চলতি বছরে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়াতে এখনও কেউ মারা যায়নি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মিটন ত্রিপুরা বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে থেকে ঈদে আসার পর থেকে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। আসার সময় তারা ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে এসেছে। মাটিরাঙ্গার চৌধুরীপাড়া, কাজীপাড়া এলাকাসহ আশপাশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।

খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, হাসপাতালে অধিকাংশ রোগী মাটিরাঙ্গা থেকে আসা। আমরা মনে করছি, মাটিরাঙ্গার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা থেকে রোগ ছড়াচ্ছে। স্থানীয়দের সচেতন থাকতে হবে ও এলাকার আশেপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে।

স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে মাটিরাঙ্গায় বেড়েছে এসব রোগীর সংখ্যা। ময়লা ও আবর্জনা পরিষ্কার না করা এবং মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় এ দশা। তারা স্থানীয় পৌর মেয়রদের কাছে মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।  

মাটিরাঙ্গা পৌরমেয়র শামছুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মশা নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। পৌর এলাকায় ইতোমধ্যে মশা নিধনে কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় নাগরিককেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মশার বিস্তার ঠেকাতে মশক নিধন কার্যক্রম জোরালো করতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলছেন সিভিল সার্জন।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের বাংলানিউজকে বলেন, আগে থেকে খাগড়াছড়িতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি। এর সঙ্গে নতুন করে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছে। ঈদের পর থেকে জেলায় ডেঙ্গু শনাক্ত বেশি হচ্ছে। আমরা সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য কীট সরবরাহ করেছি। আমরা সব প্রস্তুতি রয়েছে। আক্রান্তদের আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি।

মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন। যতটুক জেনেছি, বাইরে থেকে যারা এসেছে তাদের মাধ্যমে জেলায় ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এডি/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।