ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আরও বেশি করে মশা মারার কার্যক্রম চালানোর আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৩
আরও বেশি করে মশা মারার কার্যক্রম চালানোর আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ঢাকা: ডেঙ্গুরোগী যেহেতু কমেনি, তাই মশাও কমেনি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বেশি করে মশা মারার কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।  

সোমবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদান’ সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গুর কারণে স্যালাইনের চাহিদা ১০ গুণ বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুরোগীদের প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ ব্যাগ স্যালাইন লাগে। আমাদের কাছে আনুমানিক একটি হিসেব রয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন প্রয়োজন হচ্ছে। এ পরিমাণ স্যালাইন জোগাড় করতে হাসপাতালও হিমশিম খাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানিকে আমরা তাদের প্রোডাকশন বাড়াতে বলেছি। ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটবে না।  

তিনি বলেন, আমাদের মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা দরকার, আমাদের পৌরসভাগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়া দরকার। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো স্প্রে করছে, সেটা আরও ভালোভাবে হওয়া দরকার। কারণ মশার কামড়তো কমেনি। রোগী যেহেতু কমেনি, তাই মশার কামড়ও বেশি রয়েছে। অর্থাৎ মশা বেশি আছে। আমাদের নিজেদেরও দায়িত্ব রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ একটি মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ। এটি কারো একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কাজেই আমাদের সবাইকে মিলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিটি জেলাতে আমরা ডেঙ্গুরোগী পাচ্ছি। তার মানে হলো প্রতিটি জেলাতেই এডিস মশা আছে। কাজেই এখন সারা দেশে মশা নিধন কার্যক্রমটা হওয়া উচিত। এমনকি শুধুমাত্র এ সিজনটাতেই নয়, সারাবছরই মশা নিধন কার্যক্রমটা চালানো প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৩
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।