ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জয়পুরহাটে দুই বছরেও চালু হয়নি আইসিইউ

শাহিদুল ইসলাম সবুজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
জয়পুরহাটে দুই বছরেও চালু হয়নি আইসিইউ

জয়পুরহাট: প্রস্তুত করার দুই বছর পরও চালু হয়নি জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নতুন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)।  

কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধুমাত্র ছয়জন অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক, ১০ জন ওয়ার্ড বয় ও আয়ার অভাবে এটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

ফলে সব যন্ত্রপাতি থাকার পরও অতি জরুরি এ ইউনিটটি মুমূর্ষু রোগীদের কোনো কাজে আসছে না।

হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, করোনা পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের চার তলার একটি স্টোর রুমে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট প্রস্তুত করা হয়। ওয়ার্ডটি প্রস্তুত করতে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ সহযোগিতা করলেও প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি কেনার জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল।  
 
এরপর দেখতে দেখতে দুই বছর পার হলেও সেটি আর চালু হয়নি। ফলে স্বল্প খরচে সরকারিভাবে উন্নত চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন না জয়পুরহাটবাসী।
 
আরাফাত নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালে স্বল্প পরিসরে যে আইসিইউ ইউনিটটি স্থাপন করা হয়েছে, সেটি দ্রুত চালু করলে জয়পুরহাটসহ আশপাশের জেলার মানুষও স্বল্প খরচে বিশেষায়িত এ সেবাটি পাবেন।

ভারত-বাংলাদেশ যুব মৈত্রী জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, করোনার সময় আমরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি, আইসিইউ কতটা জরুরি। জয়পুরহাটবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালে কোনো রকম একটি আইসিইউ ইউনিট প্রস্তুত করা হলেও তার সেবা এখনো মানুষ পাচ্ছেন না। এতে অসংখ্য মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা চাই, দ্রুত এটি চালু করা হোক।
 
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের জয়পুরহাট জেলা শাখার সভাপতি নূর ই আলম হোসেন বলেন, যাদের সামর্থ্য আছে, তারা জেলার বাইরে রোগী নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অনেকে আবার পথেই মারা যাচ্ছেন। জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটটি চালু হলে এ অবস্থার উন্নতি হতো।
 
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল জানান, এ ইউনিটটির জন্য ১৪ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র ছয়জন অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক, ১০ জন ওয়ার্ড বয় ও আয়ার অভাবে নতুন ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সংকট কেটে যাবে।
 
জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নতুন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ওয়ার্ডটি প্রস্তুত করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় সোয়া এক কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।