ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘৩৩ হাজার শিশু জন্মের এক বছরের মধ্যে মারা যায়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৩

ঢাকা: আয়োডিনের অভাবজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে প্রকট। এর অভাবে প্রতি বছর ৪১ হাজার মৃত শিশু জন্মগ্রহণ করে।

৩৩ হাজার শিশু জন্মের এক বছরের মধ্যে মারা যায় এবং ১৫ হাজার শিশু মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে।

রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে খাদ্য অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা আন্দোলন ও নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত ‘খাদ্য অধিকার অর্জনে পুষ্টি নিরাপত্তা: বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব তথ্য জানানো হয়।

তথ্যে বলা হয়, “আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা পুষ্টিহীনতা, যার সবচেয়ে বেশি শিকার গর্ভবতী ও মা, শিশু ও কিশোরী মেয়েরা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২ দশমিক ২৮ শতাংশ বাংলাদেশে বাস করে। কিন্তু সবচেয়ে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের ৬ শতাংশও বাংলাদেশে বসবাস করে। ”

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “শিশুদের খাবার মেনু বা স্বাস্থ্য বিষয়ে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, তা সত্য নয়। এসব প্রতারণা বন্ধ করতে হবে। খাদ্যে অতিরিক্ত মুনাফা লাভ বন্ধ না করলে খাদ্য নিরাপত্তা আসবে না। ”

ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. এম এ সাইদ বলেন, “আমাদের দেশে অনেক সময় ডায়াবেটিস সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হয়। অন্য দেশের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে আমরা রোগ নির্ণয় করি, যা উচিত নয়। নিজেদের তথ্য উপাত্ত দিয়ে রোগ নির্ণয় করা দরকার। ”

আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা.লেলিন চৌধুরী, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. নাহিদা ইয়াসমিন।

এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি এবং খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সিটিউটের প্রভাষক আলী আব্বাস মোহাম্মদ খোরশেদ এবং সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন খাদ্য অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা আন্দোলনের সদস্য সচিব জাকির হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৩
এমআইএসে/এটি/ সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।